কভিড-১৯-এ আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন দেশের অন্যতম শীর্ষ ব্যবসায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বাবুল। গতকাল রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন এ বরেণ্য শিল্পপতি। আজ বাদ জোহর যমুনা ফিউচার পার্ক মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম বণিক বার্তাকে জানান, নুরুল ইসলাম বাবুল নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৪ জুন থেকে এভারকেয়ার (সাবেক এ্যাপোলো) হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ (গতকাল) তিনি মারা যান।
জানা গেছে, কভিড-১৯-এ আক্রান্ত নুরুল ইসলাম বাবুলের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তার চিকিৎসায় ১০ সদস্যের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছিল এভারকেয়ারে। এর বাইরেও চীন ও সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নেয়া হয়েছিল।
যমুনা বাংলাদেশে বড় শিল্প গ্রুপগুলোর একটি। তৈরি পোশাক ও টেক্সটাইল, রাসায়নিক, চামড়া, ইলেকট্রনিক্স, বেভারেজ, টয়লেট্রিজ, নির্মাণ ও আবাসন খাতে ছড়িয়ে আছে এ গ্রুপের ব্যবসা। দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। যমুনা গ্রুপের অধীনে গড়ে তুলেছিলেন অন্তত ৪১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
১৯৪৬ সালে জন্ম নেয়া নুরুল ইসলাম বাবুল ১৯৭৪ সালে যমুনা গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন। একে একে শিল্প ও সেবা খাতে গড়ে তোলেন তিন ডজন কোম্পানি। বর্তমানে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছে এ গ্রুপে।
মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চিফ হুইপ নুর-ই আলম চৌধুরী লিটন, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমদ, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
নুরুল ইসলাম বাবুলের মৃত্যুতে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) পক্ষে শোক জানিয়েছেন সভাপতি এ কে আজাদ, এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম প্রমুখ।
