সরকারি দলে সবসময় কিছু আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে উল্লেখ করে এ ব্যাপারে সরকার সচেতন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে ডিজিটাল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ এ দেশের মাটি ও মানুষের সংগঠন। জনমানুষের বুকের গভীরের শিকড়। এ দেশের প্রতিটি অর্জন আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে। এ দলে এসে দলের নাম ভাঙিয়ে অনিয়মের আশ্রয় নিয়ে ভাগ্য বদলাতে আওয়ামী লীগ কখনো কাউকে সুযোগ দেয় না। কারণ সরকারি দলে সবসময় কিছু আগাছা-পরগাছা ঢুকে পড়ে। কিন্তু সরকার এ ব্যাপারে অন্তত সচেতন। যারাই দলের নাম ভাঙিয়ে অপকর্ম করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকার মোটেও কার্পণ্য করে না।
তিনি বলেন, দলের দুঃসময়ের রোদে পোড়া, বৃষ্টিতে ভেজা কর্মীদের পিছনে রেখে আশ্রয়ী, লোভী ও ষড়যন্ত্রকারীদের আর সুযোগ নেই। যারা দলের ভেতর বর্ণচোরা হয়ে দলের ভার্বমূতি নষ্ট করবে, অনিয়ম করে নিজের সহায় সম্পত্তি বৃদ্ধির চেষ্টা করবে তাদেরকে সতর্ক করে দিচ্ছি। এমন কর্মকাণ্ড আওয়ামী লীগ মেনে নেবে না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান অত্যন্ত কঠোর। এ বিষয়ে শেখ হাসিনা সরকার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুর্নীতি উদ্ঘাটন করে এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে আসছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান থেকে শুরু করে ত্রাণ কার্যক্রম, স্বাস্থ্য খাতসহ যেখানেই অনিয়ম-দুর্নীতি সেখানেই কঠোর অবস্থান নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেন, করোনার এ পরিস্থিতিতে জনগণকে বাঁচানোর লক্ষ্যে সর্বাত্মক কাজ করছে সরকার ও আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে সব রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদ দিয়ে ক্ষেত্রবিশেষ সীমিত করে জনগণের দুর্দশা কমানো, সংক্রমণ রোধ এবং জীবিকার নিরাপত্তা বিধানকে রাজনীতি হিসেবে নিয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপি অসহায় মানুষের পাশে না দাঁড়িয়ে সমালোচনার নামে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতাকাল উদযাপন করছে, তারা জনগণের দুর্দশা ও অসহায়ত্ব চোখে দেখে না। জনগণ এখন আর তাদের মিথ্যাচারে বিভ্রান্ত হয় না, বিএনপির মরিচা ধরা কৌশল আজ অকৌশলে রূপ নিয়ে বুমেরাং হচ্ছে।
তিনি বলেন, ক্ষমতায় থেকে যারা দুর্নীতি, সাম্প্রদায়িকতা আর অনিয়মকে প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের আশ্রয়-প্রশ্রয় ও পুনর্বাসিত করেছিল, তাদের মুখে অনিয়ম নিয়ে কথা বলা শোভা পায় না।
