লক্ষণগুলো দীর্ঘমেয়াদি হচ্ছে কেন?

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাস মহামারী শুরু হওয়ার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও চিকিৎসকরা এখনো ভাইরাসটি সম্পর্কে পুরোপুরি জেনে উঠতে পারেননি। একটি আশ্চর্যকর তথ্য হলো কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ভাইরাসের লক্ষণগুলো স্থায়ী হতে পারে। ব্রিটেনের ব্র্যাডফোর্ড রয়্যাল ইনফার্মারি (বিআরআই) হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. জন রাইট করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার অনেক সপ্তাহ পরও ক্লান্ত হাঁপিয়ে যাওয়া দুজন তরুণীর সঙ্গে কথা বলেছেন।

তাদেরই একজন বিআরআইয়ের ফিজিও মলি উইলিয়ামস। বরাবরই তিনি সুপার-ফিট অ্যাথলেট ছিলেন। তবে তিনি বলেন, দ্রুত দম ফেলা আমার জন্য আদর্শ হয়ে উঠছে। সর্বোপরি অস্বাভাবিক অনুভূতি হচ্ছে এবং স্মৃতিশক্তিজনিত সমস্যা হচ্ছে।

দুজনের ক্ষেত্রেই তারা প্রথম অসুস্থ হওয়ার পর তিন মাস ধরে অসুস্থ ছিলেন। ডা. জন রাইট বলেন, আমরা রোগীদের দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা নিয়ে সচেতন হয়েছি। যারা হাসপাতালে ছিলেন কেবল তারাই নয়, বাড়ি থেকে চিকিৎসা নেয়া রোগীরাও দীর্ঘ সমস্যায় পড়ছেন। কয়েক মাস আগে সংক্রমিত রোগীরাও স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সংগ্রাম করছেন।

তিনি বলেন, আমরা রোগীদের থেকে ক্রমবর্ধমান সংখ্যক -মেইল চিঠি পাচ্ছি। কেউ কেউ বুকে ব্যথা শ্বাসকষ্টের মতো মূল লক্ষণগুলোতে ভুগছেন। অন্যদের মাথাব্যথা, স্মৃতিশক্তি হ্রাস দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হচ্ছে। অনেকেরই হতাশা উদ্বেগ থাকে। তাদের বেশির ভাগেরই অবিরাম, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি থাকে। আমরা এখনো বুঝতে পারছি না যে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষণগুলো কেন হচ্ছে। হতে পারে তাদের শরীরে ভাইরাসগুলো বিদ্যমান থাকে এবং লক্ষণগুলো অবিরাম সৃষ্টি করে। অথবা এমন হতে পারে যে ভাইরাসটি সংক্রমণের কারণে ফুসফুস অন্যান্য অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং এটার প্রতিক্রিয়ায় লক্ষণগুলো দীর্ঘমেয়াদে দেখা দিচ্ছে।

বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন