সৃজনশীল এগ্রোট্যুরিজম চালু করছে যুক্তরাষ্ট্রের ছোট ফার্মগুলো

বণিক বার্তা ডেস্ক

গত মার্চে নভেল করোনাভাইরাসের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর ক্যারোলাইনাতে যখন জনস্বাস্থ্য নিষেধাজ্ঞাগুলো জারি হতে থাকে, তখন খাদ্য প্রস্তুতকারী ফার্ম মিলস্টোন ক্রিক অর্চার্ডসের মালিক বেভারলি মুনি জানতেন যে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে দ্রুত তাকে মানিয়ে নেয়ার উপায় বের করতে হবে। তিনি বলেন, সাইটে কেবল বেকারি তৈরির সুযোগ দেয়া হতো, যা সত্যিই আমার ব্যবসাকে সীমাবদ্ধ করে দেয়।

মুনি বলেন, শুরুতে এভাবে আমাদের একজনের ফার্মের সসেজ বিক্রি করা হয়েছিল, আরেকজন ডিম বিক্রি করেছিল এবং একজন নারী আমাদের সুন্দর মাইক্রোগ্রিন সালাদ সরবরাহ করেছিলেন, যা তিনি সাধারণত রেস্তোরাঁগুলোয় বিক্রি করতেন।

যুক্তরাষ্ট্রে লকডাউনের মতো ব্যবস্থাগুলো উঠে যেতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন ঘরে বন্দি থাকার পর দেশটির বাসিন্দারা বাড়ির কাছাকাছি ভ্রমণ গন্তব্য খুঁজছেন। এর মধ্যে এগ্রোট্যুরিজম যেমন খামার, বাগান এবং অন্যান্য কৃষি উদ্যোগে দর্শনার্থীদের ভ্রমণে উৎসাহ প্রদান করছে। কৃষকদের পাশে দাঁড়াতে নানাভাবে দর্শনার্থীদের আহ্বানও জানানো হচ্ছে। গত জানুয়ারিতে ভিজিট এনসি ফার্মস নামে একটি অ্যাপ চালু করা হয়েছিল। মে মাসে অ্যাপটি হাজার ৬৩০ জন ডাউনলোড করেছে, যা মার্চ মাসে ৭২৬ জনের থেকে অনেক বেশি।

এদিকে কৃষকরাও কভিড-১৯-এর নিয়ম বিধিনিষেধগুলো মেনে চলার পাশাপাশি দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করতে নতুন উদ্ভাবনী উপায় সন্ধান বের করছেন। সামাজিক দূরত্ব মেনে ফসলের উৎপাদন দেখতে এবং খামারের পশুদের সঙ্গে ঘুরে দেখার আহ্বান জানাচ্ছেন তারা। এমনকি গাড়ির মধ্যে থেকে পরিবারগুলোকে খামারের অভিজ্ঞতা দেখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

খামারের অভিজ্ঞতার সঙ্গে দর্শনার্থীদের সংযুক্তকারী প্রতিষ্ঠান ফার্মস্টেড ইডির প্রতিষ্ঠাতা লিনেট সোনে বলেন, ভ্রমণ সীমাবদ্ধতাগুলো হ্রাস পাওয়ার কারণে আমরা দেখছি মানুষ তাদের গাড়িতে ঝাঁপিয়ে পড়তে এবং বাইরে ঘুরতে যেতে চায়। এই মহামারীজুড়েও অনেক মানুষ জিজ্ঞাসা করেছে যে তাদের খাবারগুলো কোথা থেকে আসছে এবং তারা তাদের খাদ্য তৈরি প্রক্রিয়াকরণ বিষয়গুলো দেখতে অনেক আগ্রহী।

এমটি ভিউ অর্চার্ডস নামে ওরেগনের হুড নদী উপত্যকায় ৫০ একরজুড়ে আপেল নাশপাতি ফলের খামার গড়ে তুলেছেন ক্যাটরিনা ম্যাকঅ্যালেক্সান্ডার। বেশির ভাগ ছোট খামার মালিকের মতো ম্যাকঅ্যালেক্সান্ডার বলেছেন, আমরা জেনে গিয়েছিলাম যে কভিড-১৯-এর পর আমাদের কার্যক্রমও পরিবর্তন করা দরকার। আমার খামারের তাজা ফল পিজ্জা পরিবেশন করার জন্য নিজস্ব রেস্টুরেন্ট ছিল, পাশাপাশি শিশুদের খেলাধুলা ঘুরে বেড়ানোর জন্য পিকনিক স্পটও ছিল। সুতরাং মার্চে যখন লকডাউন করা হলো আমরা নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে প্রস্তুত হই। কভিড-১৯ আমাকে সৃজনশীল হতে বাধ্য করেছে। বিধিনিষেধের মধ্যেই গত ১৫ মে আমার খামারটি জনসাধারণের জন্য খুলে দিয়েছি। সেখানকার চেয়ার-টেবিলগুলো দূরে দূরে স্থাপন করেছি।

স্মিথসোনিয়ান ম্যাগাজিন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন