নিউজিল্যান্ড বিশ্বের শীর্ষ মাখন রফতানিকারক দেশ। গত বছর দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে দুগ্ধপণ্যটির রফতানিতে মন্দা ভাব বজায় ছিল। তবে চলতি বছর করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে দেশটির মাখন রফতানিতে চাঙ্গা ভাব ফিরতে পারে। বছরজুড়ে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রফতানি হতে পারে পাঁচ লাখ টনের কিছু বেশি মাখন। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। খবর এগ্রিমানি ও নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে নিউজিল্যান্ড থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৫ লাখ ১ হাজার টন মাখন রফতানি হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ বেশি।
তবে গত বছর দেশটি থেকে দুগ্ধপণ্যটির রফতানি আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ২০ শতাংশ কমে ৪ লাখ ৯৫ হাজার টনে নেমে আসে। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে দুগ্ধপণ্যটির রফতানি কমেছে ৬ হাজার টন।
ইউএসডিএর পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর শেষে করোনা মহামারীর ধাক্কা সামলে নিউজিল্যান্ড থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে পাঁচ লাখ টনের কিছু বেশি মাখন রফতানির সম্ভাবনা রয়েছে। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে দেশটি থেকে দুগ্ধপণ্যটির রফতানি বাড়তে পারে ১ দশমিক ১ শতাংশ। মূলত বাড়তি উৎপাদনের জের ধরে বছর শেষে দেশটি থেকে মাখন রফতানি বাড়তে পারে।
এর আগে ২০১৪ সালে নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি ৫ লাখ ৬০ হাজার টন মাখন রফতানি হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি।
