পুয়ের্তো রিকো দ্বীপ বেচে দিতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প!

বণিক বার্তা অনলাইন

তিন বছর আগে এক বিধ্বংসী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হয়ে যাওয়া মার্কিন মালিকানাধীন ক্যারিবীয় দ্বীপ পুয়ের্তো রিকো বেচে দিতে চেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ২০১৭ সালে হ্যারিকেন মারিয়ার আঘাতে ব্যাপক প্রাণহানি ও অবকাঠামোগত ক্ষতি সামলাতে ব্যর্থ ট্রাম্প বিরক্ত হয়েই এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন। 

মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক টাইমসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে সাবেক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি এমন তথ্যই দিয়েছেন। গত শুক্রবার সাক্ষাৎকারটি প্রকাশিত হয়েছে।

সাবেক ওই কর্মকর্তার নাম এলাইন ডিউক। তিনি বলেন, বুঝলেন, প্রেসিডেন্টের প্রাথমিক আইডিয়াটা অনেক বেশিই ব্যবসায়ী মনোভাবাপন্ন ছিল। ডিউক ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে যখন পুয়ের্তো রিকোতে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হাতে তখন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি ছিলেন। ফলে প্রত্যক্ষ সাক্ষী হিসেবে তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট বারবার বলছিলেন, আমরা কি এখানে বিদ্যুৎ সরবরাহটা আউটসোর্স করতে পারি? দ্বীপটা কি বেচে দেয়া যায়? এই সম্পদটা বরং অন্য কোথাও বিনিয়োগ করা যায় না?

তবে প্রেসিডেন্টের পুয়ের্তো রিকো বেচে দেয়ার এই আইডিয়া কখনোই নীতি নির্ধারক মহলে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়নি বলেও জানান ডিউক।

হ্যারিকেন মারিয়ায় বিধ্বস্ত পুয়ের্তো রিকো দ্বীপের অবকাঠামো ও জানমালের ক্ষতি সামলানো নিয়ে ট্রাম্পের অভিজ্ঞতা খুবই করুণ! ওই সময় ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন তিনি। হ্যারিকেন মারিয়ার আঘাতে ও আঘাত পরবর্তী প্রভাবে দ্বীপটিতে প্রায় ৩ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ছিল ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘস্থায়ী।

ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পুনরুদ্ধার তহবিলের টাকার অপব্যবহার নিয়েও পুয়ের্তো রিকো কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার অভিযোগ ছিল, রিলিফ হিসেবে দেয়ার সরকারের বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নেতারা ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার কাজের বাইরেও খরচ করেছেন। 

২০১৮ সালের নভেম্বরে হোয়াইট হাউস কর্মকর্তারা কংগ্রেস ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেন, প্রেসিডেন্ট নতুন করে আর কোনো ত্রাণ ওই দ্বীপে পাঠাতে চান না।

তবে পুয়ের্তো রিকোর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পদক্ষেপে তার প্রশাসনের কোনো ব্যর্থতা দেখেন না প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। বরং তিনি নিজের অর্জনেরই প্রশংসা করেছেন। গত বছর তার প্রশাসনের উদ্যোগকে ‘অবিশ্বাস্য’, ‘অনুচ্চারিত সাফল্য’ বলে অভিহিত করেছেন।

সূত্র: সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন