কভিড-১৯

চট্টগ্রামে চারবার নমুনা পরীক্ষার পরও পজিটিভ রোগী

দেবব্রত রায় চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামে কভিড-১৯ আক্রান্ত এক রোগীকে চার দফায় নমুনা পরীক্ষা করেও করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার সাতঘরিয়া গ্রামের ওই রোগীকে পঞ্চম দফায় নমুনা পরীক্ষার উদ্যোগ নিয়েছে উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র। দফায় দফায় পরীক্ষা করা নিয়ে উদ্বেগে রয়েছেন আক্রান্ত রোগী তার পরিবার। 

চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাতঘরিয়া গ্রামের নং ওয়ার্ডের হরিবলির বাড়ির নিমাই সাহা স্থানীয় শিবেরহাট বাজারে ব্যবসা করেন। গত ১০ জুন করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। সময় পরিবারের সদস্যরা বাড়ির অন্যদের থেকে আলাদা থাকা শুরু করেন। পরে নিমাই সাহাসহ পরিবারের সাত সদস্য সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরামর্শ নিতে যান। ১৭ জুন নমুনা সংগ্রহ করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ২১ জুন রাতে ওই পরিবারের প্রত্যেক সদস্যের করোনাভাইরাস পজিটিভ হওয়ার খবর দেয়া হয়। স্থানীয় প্রশাসন হরিবলির বাড়িতে বসবাস করা ১১টি পরিবারকে ২২ জুন সকাল থেকেই লকডাউন করে দেয়।

আক্রান্ত পরিবারের করোনার নমুনা সংগ্রহ পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, উল্লিখিত পরিবারটির সাত সদস্য ১৭ জুন করোনা উপসর্গ থাকায় নমুনা দেন। ২১ জুন দেয়া ফলাফলে সৈকত সাহা, কানন বালা সাহা, সৌরভ সাহা, দিপু সাহা, শিবু সাহা, নিমাই সাহা নিরঞ্জন সাহা করোনা পজিটিভ হন। অন্যদিকে আক্রান্তরা সুস্থ বোধ করলে নিয়মানুযায়ী ২৪ জুন তাদের দ্বিতীয় দফায় করোনার নমুনা সংগ্রহ করে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২৯ জুন দেয়া ফলাফলে সৈকত সাহা সৌরভ সাহার করোনাভাইরাস নেগেটিভ আসে। পরিবারের বাদবাকি পাঁচ সদস্যের করোনা পজিটিভ আসে।

এদিকে দ্বিতীয় দফার পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ আসা পাঁচজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয় জুলাই। জুলাই দেয়া তৃতীয় দফার পরীক্ষার ফলাফলে নিরঞ্জন সাহা, শিবু সাহা, নিমাই সাহা কানন বালা সাহা করোনা নেগেটিভ হলেও দিপু সাহার করোনা পজিটিভ আসে। সর্বশেষ চতুর্থ দফায় জুলাই দিপু সাহার নমুনা নেয়া হলেও জুলাই দেয়া পরীক্ষার ফলাফলে চতুর্থবারের মতো তিনি আবারো করোনা পজিটিভ হন।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের (বিআইটিআইডি) করোনা ল্যাবপ্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমেদ জানান, কেউ কেউ দীর্ঘদিন করোনাভাইরাস নিজের শরীরে বহন করতে পারে। তবে ১৪ দিন পর করোনা শরীরে মৃত ভাইরাসে পরিণত হয়। অনেকের শরীরে মৃত ভাইরাস ৪০-৪২ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে।

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বণিক বার্তাকে জানান, সাধারণত করোনায় আক্রান্ত হলে তাকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। পরে তাকে নির্দিষ্ট সময় পর পরীক্ষা করে তার রিপোর্ট নেগেটিভ না পজেটিভ সেটা দেখা হয়। কিন্তু চারবার পরীক্ষার পরও তার করোনা পজিটিভ এসেছে এমন ঘটনা খুবই দুর্লভ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন