বাড়তি সতর্কতায় করোনামুক্ত পাবনা মানসিক হাসপাতাল

শফিউল আলম দুলাল পাবনা

পাবনায় প্রতিদিনই বাড়ছে নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। নানা সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষের বাড়তি সতর্কতার কারণে এখন পর্যন্ত পাবনা মানসিক হাসপাতালে কোনো রোগী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি। কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা নিয়ন্ত্রণে শুরু থেকে কঠোরভাবে নিয়মনীতি পালন করায় এখন পর্যন্ত করোনামুক্ত রাখা গেছে বিশেষায়িত হাসপাতালের রোগী স্টাফদের।

পাবনা সিভিল সার্জন দপ্তর থেকে জানা গেছে, জেলায় এখন পর্যন্ত হাজার ৭৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হয়েছে ৫৯৯ জন। সুস্থের তালিকায় ২০৪ জন থাকলেও মৃতের তালিকাটি লম্বা। সরকারিভাবে জেলায় নয়জনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও বেসরকারি কভিড রোগী দাফনকারী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তহুরা আজীজ ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানা গেছে, ২০টির অধিক মরদেহ তারা দাফন করেছে।

হাসপাতালের কনস্যালট্যান্ট ডা. শফিউল আজম জিকো জানান, প্রতিদিন বহির্বিভাগে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে নতুন পুরনো মিলে প্রায় ৩০০ রোগীকে সেবা দেয়া হচ্ছে। দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা তা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা নেই হাসপাতালে। এমনকি ভর্তি রোগীদেরও পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ঝুঁকি নিয়েই রোগীদের সেবা দেয়া হচ্ছে এখানে।

পাবনা মানসিক হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার এটিএম মঞ্জুর মোর্শেদ জানান, বাংলাদেশে কভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর থেকেই আমরা হাসপাতালটিকে করোনামুক্ত রাখতে চেষ্টা করছি। এখানে করোনা প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কোনো চিকিৎসক দেয়া হয়নি। মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসক নার্স সংকট থাকলেও কয়েকজন চিকিৎসককে বদলি করা হয়েছে। ফলে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। 

তিনি বলেন, এখানে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য কোনো প্রশিক্ষিত চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়নি। নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রশিক্ষিত কোনো ল্যাব টেকনিশিয়ানও দেয়া হয়নি। একজন ল্যাব টেকনিশিয়ান আছেন, তিনি আন্তঃবিভাগের রোগীদের সাধারণ প্যাথলোজির কাজ করছেন।

তিনি বলেন, দেশে করোনা প্রাদুর্ভাবের পর হাসপাতালে ভর্তি করা নতুন রোগীদের জন্য পুরুষ ওয়ার্ডে ২০ মহিলা ওয়ার্ডে ২০ শয্যাবিশিষ্ট আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়। আবাসিক অবকাঠামো অপ্রতুলতার কারণে মাদক নিরাময় ওয়ার্ডটি অন্যত্র সরিয়ে ওয়ার্ডেই পুরুষ বিভাগের আইসোলেশন ওয়ার্ড করা হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সতর্কতা সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতায় এখন পর্যন্ত মানসিক হাসপাতালের কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়নি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন