রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ব্যাখ্যা চাইল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছেস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমন বক্তব্যের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবুল কালাম আজাদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তিন কার্যদিবসের মধ্যে বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে বলা হয়েছে। গতকাল তথ্য জানা যায়।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শারমিন আক্তার জাহান স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করেছে।

চিঠিতে আরো বলা হয়, যেকোনো হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে তা সরেজমিন পরিদর্শন, হাসপাতাল পরিচালনার অনুমতি, পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি, জনবল ল্যাব ফ্যাসিলিটিজ ইত্যাদি বিশ্লেষণ করে উপযুক্ততা বিবেচিত হলেই কভিড পরীক্ষা বা চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য চুক্তি সম্পন্ন করার সুযোগ রয়েছে। রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তির পূর্বে কী কী বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল, চুক্তি করার পর উদ্ধৃত শর্তগুলো প্রতিপালনে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা বলতে কী বোঝানো হয়েছেতার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

উল্লেখ্য, গত শনিবার গণমাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হালনাগাদ লাইসেন্স না থাকা সত্ত্বেও রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করে।

অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. মো জাহাঙ্গীর কবির স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ করিমের প্রতারণার খবর বেরিয়েছে, কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদপ্তর তার বিষয়ে আগে অবহিত ছিল না। তবে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে রোগী ভর্তি নেয়ার বিষয়ে সমঝোতা স্বাক্ষর চুক্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। এর তার আগে ক্লিনিক দুটি পরিদর্শন করে চিকিৎসার পরিবেশ উপযুক্ত দেখতে পেলেও তার লাইসেন্স নবায়ন ছিল না। লাইসেন্স নবায়নের শর্ত দিয়ে রিজেন্টের সঙ্গে সমঝোতা চুক্তি হয় গত ২১ মার্চ।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, চুক্তির দিনের আগে অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সঙ্গে তার পরিচয় তো দূরে থাক, তাকে আগে কখনো দেখেননি তিনি। তবে সমঝোতার পর বেশ কয়েকবার তিনি অধিদপ্তরে এসেছেন। সময় মো. সাহেদ তার সঙ্গে বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তির যোগাযোগ আছে, তার হাসপাতালে কোন বিশিষ্ট ব্যক্তির কভিড আক্রান্ত আত্মীয় ভর্তি আছেন, সেসব বলার চেষ্টা করতেন। তবে গোয়েন্দা অন্যান্য সূত্রে রিজেন্ট নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ ছিল, সেই ভিত্তিতে জুলাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ?্যাব অভিযান চালায়।

রিজেন্ট হাসপাতালের সঙ্গে অধিদপ্তরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের বিষয়ে অধিদপ্তরের অবস্থান পরিষ্কার এবং একটি ভালো কাজ করতে গিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর প্রতারিত হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতে জুলাই হাসপাতালটির কাযক্রম বন্ধ করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন