‘লোকাল বয় ভারসেস বিউটি কুইন’ নিয়ে মিশু-হিমি

ফিচার প্রতিবেদক

দীর্ঘদিন ঘরবন্দি থাকার পর বর্তমানে ঈদুল আজহাকে ঘিরে চলছে নির্মাতা, অভিনয়শিল্পী কলাকুশলীদের নাটক নির্মাণের ব্যস্ততা। সম্প্রতি ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে শুটিং শেষ হয়েছে মো. সাইফুর রহমান কাজলের রচনা এবং সাখাওয়াৎ মানিকের নির্দেশনায় একক নাটক লোকাল বয় ভারসেস বিউটি কুইন-এর নির্মাণকাজ।

লকডাউনের দীর্ঘ বিরতির পর নাটক নির্মাণ প্রসঙ্গে নির্মাতা সাখাওয়াৎ মানিক জানান, অনেকদিন বিরতির পর নাটকটি নির্মাণ করলাম। পুরো স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবার সহযোগিতায় কাজটি শেষ করতে পেরেছি। এজন্য আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া।

খুব সুন্দর একটা গল্প দিয়ে লকডাউনের পর কাজটা শেষ করতে পেরেছি বলে আত্মতৃপ্ত হয়েছি।

নাটকটির গল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, গল্পটা আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার একটা সমস্যা। বিশেষ করে আমরা যারা ঢাকায় বাস করি। অনেকেই হয়তো খেয়াল করি না যে ঢাকা শহরের মানুষগুলো নিজের অজান্তেই দুই ভাগে ভাগ হয়ে আছে। প্রথমত, ঢাকা শহরের স্থানীয় বাসিন্দা যাদের আমরা বাড়িওয়ালা বলে ডাকি। দ্বিতীয়ত, যারা জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন জায়গা থেকে এসে ঢাকায় বাস করেন অর্থাৎ ভাড়াটিয়া। গল্পটা দুই শ্রেণীর স্নায়ুযুদ্ধ নিয়ে। অর্থাৎ বাড়িওয়ালা ভাড়াটিয়ার মধ্যে যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্ব থাকে, সেটা নিয়েই নাটকের গল্প।

লোকাল বয় ভারসেস বিউটি কুইন নাটকে দেখা যাবে, গল্পের নায়কের নাম তীব্র। কেবল নামেই নয় কাজেও অত্যন্ত তীব্র। সে একজন বাড়িওয়ালার ছেলে। বলতে গেলে হবু বাড়িওয়ালা। সবকিছুতে একটা স্থানীয় মেজাজ তার মধ্যে কাজ করে। ছোটবেলা থেকে বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়াদের থেকে বেশি সম্মানের অধিকারী, রাজকীয় ভাবের অধিকারী হয় মানসিকতা নিয়ে বড় হয়েছে। ভাড়াটিয়াদের সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে মেশা যাবে না, তাদের সবসময় একটা শাসনের মধ্যে রাখতে হবে, স্থানীয় অধিবাসী হিসেবে তারা শুধু বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবে, এগুলো তীব্রর এক ধরনের মনোভাব। গল্পের এক পর্যায়ে দেখা যাবে, মীরা নামের একটি মেয়ে নতুন ভাড়াটিয়া হিসেবে তীব্রদের বাড়িতে আসে। এলাকার স্থানীয়দের যে অলিখিত কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে, তা মীরার জানা ছিল না। এখানে ভাড়াটিয়াদের যখন-তখন ছাদে ওঠা যায় না, উঠতে-বসতে বাড়িওয়ালাদের সালাম দিতে হয়। এসব নিয়ে তীব্র মীরার মধ্যে টম অ্যান্ড জেরির সম্পর্ক তৈরি হয়। তীব্র জোর খাটিয়ে মীরার ওপর প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করে। আর মীরা বুদ্ধি দিয়ে তীব্রকে পরাজিত করতে থাকে। এভাবেই মূলত গল্পটি এগিয়েছে।

নাটকটিতে তীব্র চরিত্রে মিশু সাব্বির মীরা চরিত্রে দেখা যাবে জান্নাতুল সুমাইয়া হিমিকে। অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন শিরিন আলম, সানিতা হোসাইন সাঈদী।

অনেক দিন পর কাজে ফিরতে পেরে পুরো টিমের মধ্যে ছিল দারুণ উদ্দীপনা। নাটকটিতে অভিনয়ের বিষয়ে মিশু সাব্বির বলেন, অসাধারণ একটা গল্পে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে লকডাউনের পর অভিনয়ে ফিরলাম। গল্পটিতে প্রাণবন্ত অভিনয় করতে পেরেছি। এজন্য আলাদাভাবে খুব ভালো লাগছে এবং সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজটি ভালোভাবে করেছি। সময় নাটকের গল্পটা সবার মন জয় করবে বলে তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

অভিনেত্রী হিমি বলেন, পুরো নাটকটা আমাদের বাস্তব জীবনে ঘটে যাওয়া কিছু খণ্ড খণ্ড ঘটনার প্রতিফলন। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সবার সহযোগিতায় কাজটা শেষ করতে পেরেছি আমরা। গল্পটা এত ভালো ছিল যে সবাই এর মধ্যে প্রবেশ করে গিয়েছিলাম। নির্মাতাকে ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা গল্প নিয়ে পুরো টিমটাকে অনুপ্রাণিত করে নাটকটি নির্মাণের জন্য।

 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন