জার্মানির ইস্পাত উৎপাদন কমেছে ২৭%

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইস্পাত উৎপাদনে প্রসিদ্ধ দেশগুলোর মধ্যে জার্মানি অন্যতম। তবে দুই বছর ধরে দেশটিতে ধাতব পণ্যটির উৎপাদনে মন্দা ভাব বজায় রয়েছে, যা নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর আরো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। চলতি বছরের মে মাসে জার্মানিতে পণ্যটির উৎপাদন এক-চতুর্থাংশের বেশি কমেছে। জার্মান স্টিল ফেডারেশন (ডব্লিউভি স্টিল) সম্প্রতি তথ্য জানিয়েছে। খবর সিনহুয়া।

ডব্লিউভি স্টিলের তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে জার্মানিতে সব মিলিয়ে ২৬ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন হয়েছে,

আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যা ২৭ শতাংশ কম। এর আগের মাসেও দেশটিতে ধাতব পণ্যটির উৎপাদন উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে। এপ্রিলে দেশটিতে পণ্যটির উৎপাদন কমেছে ২৪ শতাংশ।

উৎপাদনের সঙ্গে সঙ্গে সময়ে দেশটিতে ইস্পাতের চাহিদাও কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। ডব্লিউভি স্টিল সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, চলতি বছর জার্মানিতে পণ্যটির চাহিদা কমে ২০০৯ সালের অর্থনৈতিক সংকটের পর থেকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামতে পারে।

প্রতিষ্ঠানটির একজন সংশ্লিষ্ট কর্তকর্তা বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জার্মানির ইস্পাত খাত দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে পড়েছে নভেল করোনাভাইরাসের ধাক্কা। সব মিলিয়ে খাতটি গভীর সংকটে পড়তে পারে।

দেশটির বৃহত্তম ইস্পাত উৎপাদনকারী কোম্পানি থাইসেনক্রুপ মে মাসে ঘোষণা দিয়েছিল, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জানুয়ারি-জুন) নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর প্রভাবে প্রতিষ্ঠানটির ইস্পাত উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এর বাইরে চাহিদা হ্রাস বিশ্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির শ্লথতায় খাতটি আরো বেশি অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

২০১৯ সালে জার্মানির ইস্পাত খাতে নিম্নমুখী প্রবণতা বজায় ছিল। আন্তর্জাতিক ইস্পাত বাণিজ্যে গত বছর দেশটির হিস্যা ১২ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া ২০০৯ সালের পর প্রথমবারের মতো পরপর দুই বছর (২০১৮ ১৯) পণ্যটির উৎপাদন কমতির দিকে ছিল। গত বছর দেশটি সব মিলিয়ে কোটি ৯৭ লাখ টন অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদন করেছিল।

এদিকে মহামারীর প্রভাবে খাতটিতে বিদ্যমান সংকট আরো ঘনীভূত হয়েছে। ফলে বছরটাও জার্মানির ইস্পাত উৎপাদনে মন্দা ভাবে শেষ হতে পারে বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন