নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে বারদি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি ও ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলামকে কুপিয়েছে গুরুতর জখমে করেছে সন্ত্রাসীরা। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু ও তার ছেলে আশিকসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী তার ওপর হামলা করে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।
আজ রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে বারদীর শান্তির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবলীগ নেতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শান্তিরবাজার এলাকায় একটি জমি নিয়ে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু, ফারুক মেম্বার, সানু মেম্বার, আমজাদ হোসেন ও সানাউল্লাহ সিন্ডিকেট এবং আব্দুল মতিনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ নিয়ে গতকাল শনিবার সকালে সোনারগাঁও থানায় একটি বিচার সালিশ বসে। সালিশে সোনারগাঁও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আব্দুল মতিনের পক্ষে সব কাগজপত্র সঠিক পায় সালিশকারীরা। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে বিচারের রায় দেবেন বলে বৈঠকে জানানো হয়।
আজ বেলা ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে ওই জমি দেখতে যান। জমির মালিক দাবিদার আব্দুল মতিনের পক্ষে ছিলেন যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আজ সরেজমিন পরিদর্শন শেষে জমির স্থান ত্যাগ করার পরপরই দুপুরে আমিনুল ইসলামকে একা পেয়ে ডাকাত সর্দার হাবু ও তার ছেলে আশিক সহযোগী শাহজালাল ও ডালিমসহ ১০-১২ জনের একটি দল রামদা, ছোরা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড নিয়ে হামলা করে। ঘটনাস্থল থেকে মারাত্মক আহত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ডাকাত সর্দার হাবু ওই এলাকার ত্রাস সৃষ্টি করে মানুষের জমি দখল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জহিরুল হকের প্রভাবে সে ওই এলাকায় অপকর্ম করে বেড়ায়। ডাকাত সর্দার হাবুর বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানাসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, চুরি, মাদক, অস্ত্রসহ ১৯টি মামলা রয়েছে।
সোনারগাঁও থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডাকাত সর্দার হাবুকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
