আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে জামিন শুনানি চলছে। এ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রায় ৫০ হাজার আসামিকে জামিন দেয়া হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতি গত সপ্তাহে স্বাভাবিক আদালতে সারেন্ডারের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন এবং অন্যান্য আরও কিছু জিনিস তিনি স্বাভাবিক আদালতে চালু করার কথা বলেছেন।
আজ রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে অধস্তন আদালতের আইনজীবীদের ‘ভার্চুয়াল আদালত পদ্ধতি ব্যবহারে দক্ষতা উন্নয়ন’ শীর্ষক এক অনলাইন প্রশিক্ষণে এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাস আমাদেরকে কতদিনে ছেড়ে যাবে তা আমরা জানি না। যদি করোনাভাইরাসের প্রকোপ আরও বাড়ে তাহলে আমাদেরকে ভার্চুয়াল কোর্টের সাহায্য নিতেই হবে। কারণ বিচার ব্যবস্থার কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। স্বাধীন ও ন্যায়বিচার প্রাপ্তির জন্য জনগণের আশা পূরণ করতেই হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্ব এবং দেশের সব বিভাগ কিন্তু ভার্চুয়ালের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ যদি ভার্চুয়ালের দিকে এগিয়ে না যায় তাহলে শুধু বিশ্বে নয়, দেশও পিছিয়ে থাকবে। আমরা সমালোচনার সম্মুখীন হবো। জনগণ আমাদের উপর আস্থা রাখতে চিন্তা করবে।
আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে যুগ্ম সচিব উম্মে কুলসুম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা জজ মো. শফিউল আজম, নরসিংদীর জেলা জজ মোস্তাক আহমেদ, জিআইজেড বাংলাদেশ এর ‘রুল অব ল’ প্রোগ্রামের প্রধান প্রমিতা সেনগুপ্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. শফিউল আলম ও এডভোকেট মিজানুর রহমান বক্তৃতা করেন।
