নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য সুরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোরস ডিপোর (সিএমএসডি) ছয় কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক
আজ রোববার দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত এক তলবি নোটিশ দেয়া হয় তাদের।
যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন- প্রাতিষ্ঠানটির সাবেক সহকারী পরিচালক (মজুদ ও বিতরণ) বর্তমানে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. শাহজাহান, সাবেক ডেস্ক অফিসার-৮ ও অতিরিক্ত দায়িত্ব স্টোর ডা. সাব্বির আহম্মেদ, স্টোর অফিসার কবির আহম্মেদ। তাদের আগামী ১৯ জুলাই দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছে।
আর আগামী ২০ জুলাই যাদের তলব করা হয়েছে তারা হলেন, সিনিয়র স্টোর কিপার মো. ইউসুফ ফকির, উপপরিচালক ও পিঅ্যান্ডসি ডা. মো. জাকির হোসেন, সাবেক-মেডিকেল অফিসার (চিফ কো-অর্ডিনেটর) ডা. জিয়াউল হক।
দুদকের তলবি নোটিশে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং সিএমএসডির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কভিড-১৯ এর চিকিৎসার নিমিত্ত নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতপূর্বক অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের তাদের বক্তব্য শ্রবণ ও গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, দেশে কভিড-১৯ মহামারী শুরুর পর থেকেই নিম্নমানের সুরক্ষা সরঞ্জাম দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে আসছিলেন চিকিৎসকরা। পরে সাধারণ ও নিম্নমানের মাস্ক দেয়ার অভিযোগ তদন্ত করতে ২১ এপ্রিল একটি কমিটি করার কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। কয়েক দফা সময় বাড়িয়ে কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তবে সেই প্রতিবেদনের আলোকে কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানানো হয়নি।
এন-৯৫ মাস্ক ও পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ১৫ জুন জয়নুল আবেদীন শিবলীকে প্রধান করে চার সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করে দুদক। অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে জেএমআই হাসপাতাল রিকুইজিট ম্যানুফ্যাকচারিং লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাকসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞসাবাদ করেছে দুদক।