জেকেজির ‘পরামর্শক’ হিসেবে যুক্ত ছিলেন, দাবি ডা. সাবরিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক

জেকেজির সঙ্গে নিজের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা আরিফ চৌধুরী। কেবল কভিড-১৯ বিষয়ক কিছু পরামর্শ দিয়ে সংস্থাটিকে সহযোগিতা করেছেন বলে দাবি এই চিকিৎসকের। আজ রোববার পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানান।

করোনাভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা না করে ভুয়া প্রতিবেদন দেওয়ার অভিযোগে ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজি হেলথকেয়ারের সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। সেই মামলায় তাকে তলব করে পুলিশ। সে অনুয়ায়ী এদিন বেলা সোয়া ১টার দিকে কর্মস্থল থেকে তিনি ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের কার্যালয়ে হাজির হন ডা. সাবরিনা।

তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার হারুন অর রশিদ জানান, তদন্তের প্রয়োজনে ডা. সাবরিনাকে তলব করা হয়েছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে।

জেকেজির বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারের কাছ থেকে বিনামূল্যে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে বুকিং বিডি ও হেলথকেয়ার নামে দুটি সাইটের মাধ্যমে টাকা নিচ্ছিল এবং নমুনা পরীক্ষা ছাড়াই ভুয়া সনদ দিত। এবিষয়ে রাজধানীর কল্যাণপুরের একটি বাড়ির কেয়ারটেকারের অভিযোগের সত্যতা পেয়ে গত ২২ জুন জেকেজি হেলথ কেয়ার) সাবেক গ্রাফিক ডিজাইনার হুমায়ুন কবীর হিরু ও তার স্ত্রী তানজীন পাটোয়ারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরে প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুলকেও গ্রেফতার করা হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে সাবরিনা নিজেকে জেকেজির সঙ্গে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই বলে দাবি করেছেন। কেবল কভিড সংক্রান্ত পরামর্শ দেয়ার জন্য জেকেজির সঙ্গে কাজ করেছেন বলেও জানান তিনি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানো হতে পারে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে গত ৪ জুন ডা. সাবরিনা তার স্বামী আরিফুলের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ তুলে তেজগাঁও বিভাগের একটি থানায় সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন