ব্যবসায়ী সমাজের ঐক্যের শক্তির প্রতি বিশ্বাস ছিল বাবার। ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে এ ঐক্যের প্রয়োজন বলে মনে করতেন তিনি। মরহুম লতিফুর রহমানকে উৎসর্গ করে আয়োজিত এক আলোচনায় এসব কথা বলেন তার মেয়ে ট্রান্সকম গ্রুপের পরিচালক ও এসকায়েফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সিমিন হোসেন।
গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স, বাংলাদেশ ও মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি(এমসিসিআই) যৌথভাবে ‘ট্রিবিউট টু লেট মি. লতিফুর রহমান’ শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করে। দুই সংগঠনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও নিহাদ কবিরসহ এতে অংশ নেন বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধাররা। বাংলাদেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় লতিফুর রহমানের অবদানের নানা দিক উঠে আসে আলোচনায়।
আইসিসি’র সঙ্গে মরহুম লতিফুর রহমানের সম্পৃক্ততার বিষয় তুলে ধরে সিমিন হোসেন বলেন, বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের ব্যবসায়িদের প্রতিনিধিত্ব করা তার জন্য ছিলো গর্বের।
সিমিন হোসেন বলেন, এমসিসিআই বাংলাদেশের ব্যবসায়ি সমাজের ভিত্তি গড়তে ভূমিকা রেখেছে।
আমার বাবার হৃদয়ের খুব কাছে সবসময় ছিল সংগঠনটি। আমরা সবসময়ই বলতাম, আমার বাবার দুইটি পাখা ছিলো- একটি ট্রান্সকম আরেকটি এমসিসিআই।
এমসিসিআইতে থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশের ইতিহাসের সোনালী দিনগুলোর পাশাপাশি অনেক কিংবদন্তির সঙ্গও পেয়েছেন লতিফুর রহমান। তাদের মধ্যে স্যামসন চৌধুরী, আনিস উদ দৌলা, সৈয়দ মনজুর এলাহী, লায়লা কবীর, সি কে হায়দারসহ আরও অনেকের নাম উল্লেখ করে সিমিন হোসেন বলেন, তারা বাংলাদেশের ব্যবসার ভিত্তি গড়েছেন।
সাতবারের মতো এমসিসিআই সভাপতিত্ব করেছেন লতিফুর রহমান। আর তাই এ সংগঠণের প্রতি তিনি ছিলেন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সিমিন হোসেন বলেন, বাবা বাংলাদেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে এমসিসিআইয়ের ভূমিকায় বিশ্বাস রাখতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ব্যবসায়ী সমাজের ঐক্যের শক্তিকে। তিনি মনে করতেন, ব্যবসার মুভারস অ্যান্ড শেকারসদের একসঙ্গে দাঁড়াতে হবে, হাতে হাত রেখে ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে হবে।