এখন পর্যন্ত চলতি শতকের সবচেয়ে বড় মহামারী হিসেবে দেখা দিয়েছে কভিড-১৯। বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্তের নিশ্চিতকৃত সংখ্যা এখনো দ্রুতগতিতে বেড়েই চলেছে। গতকালই বিশ্বব্যাপী ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্তের সংখ্যা সোয়া কোটি ছাড়িয়েছে। একই সঙ্গে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে বৈশ্বিক মৃত্যুর সংখ্যাও দাঁড়িয়েছে ৫ লাখ ৬১ হাজারের বেশিতে। অন্যদিকে একই দিনে বাংলাদেশেও ১ লাখ ৮০ হাজার অতিক্রম করে গিয়েছে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গতকাল রাত ৯টার তথ্য অনুযায়ী, ওই সময় পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হিসেবে শনাক্তের নিশ্চিতকৃত সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২৫ লাখ ৩৪ হাজার। অন্যদিকে এ সময় বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৫ লাখ ৬১ হাজার।
এ মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণে সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশগুলোর অন্যতম বাংলাদেশ। গতকালই দেশে সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা ১ লাখ ৮০ হাজার অতিক্রম করার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আগের দিনের তুলনায় এদিন সংক্রমণ শনাক্তের সংখ্যা কমলেও একই সঙ্গে কমেছে নমুনা সংগ্রহের পরিমাণও। যদিও কভিড-১৯-এ মৃত্যুর মিছিল এখনো দীর্ঘায়িত হয়েই চলেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা গতকাল এক অনলাইন বুলেটিনে জানান, দেশে গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে ২ হাজার ৬৮৬ জন। এ নিয়ে দেশে কভিড-১৯ পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ১২৯-এ।
এ ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমিতদের মধ্যে আরো ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে বুলেটিনে আরো জানান অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। এ নিয়ে দেশে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৩০৫-এ।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, এ ২৪ ঘণ্টায় বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরো ১ হাজার ৬২৮ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছে। ফলে দেশে করোনা সংক্রমণের পর মোট সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ৮৮ হাজার ৩৪-এ।
বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ৭৭টি ল্যাবে মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ১১ হাজার ১৯৩টি। আগের দিনের চেয়ে এ সংখ্যা ২ হাজার ২৯৫টি কম।
অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা জানান, গতকাল সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। এ ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে পুরুষ ও নারীর সংখ্যা যথাক্রমে ২৫ ও পাঁচজন। এদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে ১৮ জনের। বাড়িতে মারা গিয়েছে ১১ জন। মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয় আরো একজনকে।