নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর গত ১ জুন থেকে চালু হয় অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট। তবে বিমানবন্দরের জন্য নিয়োজিত ডেডিকেটেড চিকিৎসক না থাকায় চালু হচ্ছিল না রাজশাহী, বরিশাল ও কক্সবাজার রুটের ফ্লাইট। এ অবস্থায় আজ (১২ জুলাই) থেকে চালু হচ্ছে বরিশাল রুটের ফ্লাইট। আর আসন্ন ঈদুল আজহায় যাত্রী বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় রাজশাহী ও কক্সবাজার বিমানবন্দরও দ্রুতই খুলে দেয়া হবে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য।
বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে জানান, আসন্ন ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী চলাচল বাড়তে পারে। এ বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে শিগগিরই রাজশাহী ও কক্সবাজার বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালুর জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
এদিকে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণে বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ঢাকা-বরিশাল রুটে ফ্লাইট চালু করতে যাচ্ছে বেসরকারি উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস ও নভোএয়ার। দুটি এয়ারলাইনসই এ রুটে দৈনিক একটি করে ফ্লাইট পরিচালনা করবে।
ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম এ প্রসঙ্গে জানান, সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিদিন ঢাকা থেকে বরিশালে একটি ফ্লাইট পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। প্রতিদিন বিকাল ৪টা ১৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে
বরিশাল বিমানবন্দরের উদ্দেশে ফ্লাইটটি ছেড়ে যাবে। একইভাবে ফ্লাইটটি প্রতিদিন বরিশাল থেকে বিকাল ৫টা ২৫ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। ঢাকা থেকে বরিশালে ন্যূনতম ভাড়া আড়াই হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অন্যদিকে নভোএয়ার সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৩টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে বেলা ৩টা ৫৫ মিনিটে বরিশালে অবতরণ করবে। আবার বিকাল ৪টা ২৫ মিনিটে বরিশাল থেকে ছেড়ে বিকাল ৫টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।
উল্লেখ্য, করোনা মহামারী ঠেকাতে গত ২১ মার্চ থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয় বেবিচক। তবে গত ১ জুন ঢাকা থেকে সৈয়দপুর, চট্টগ্রাম ও সিলেট রুটে সীমিত পরিসরে ৭৫ শতাংশ যাত্রী নেয়ার শর্তে ফ্লাইট চলাচলে অনুমতি দেয়া হয়। আর বিমানবন্দরে চিকিৎসক ও জরুরি মেডিকেল সুবিধা না থাকায় বন্ধ থাকে রাজশাহী, বরিশাল, কক্সবাজার ও যশোর রুটের ফ্লাইট। সম্প্রতি চালু হয় যশোর বিমানবন্দর। আজ রোববার থেকে চালু হবে বরিশাল বিমানবন্দর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ও ইন্টারন্যাশনাল সিভিল এভিয়েশন অর্গানাইজেশনের (আইকাও) বেঁধে দেয়া নিয়ম অনুযায়ী, কভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতিতে যাত্রীবাহী বাণিজ্যিক ফ্লাইট উড্ডয়ন-অবতরণ করতে হলে সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে অবশ্যই চিকিৎসক ও মেডিকেল সহকারীসহ প্রাথমিক চিকিৎসার প্রয়োজনীয় সব উপকরণ থাকতে হবে।
