রাইডশেয়ার

ধীরে ধীরে বাড়ছে গাড়ি, নিষিদ্ধই থাকছে মোটরসাইকেল

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে সেলফোন অ্যাপভিত্তিক পরিবহন সেবা (রাইডশেয়ার) ধীরে ধীরে বাড়ছে অ্যাপে চলা প্রাইভেট কারের সংখ্যাও। তবে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) শুধু সেসব প্রাইভেট কারকেই চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে, যেগুলোর এনলিস্টমেন্ট সনদ আছে। রাইডশেয়ারে গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের নির্দেশনাও দিয়েছে সংস্থাটি।

মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে দেশে কভিড-১৯-এর প্রকোপ শুরু হয়। কারণে ২৬ মার্চ থেকে সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ করে দেয় সরকার। দীর্ঘ দুই মাস পর জুন থেকে গণপরিবহন চালু হলেও স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় রেখে রাইডশেয়ার তখনো বন্ধ রাখে সরকার। ২১ জুন মাত্র ২৫৫টি গাড়ি রাইডশেয়ারে চলার অনুমতি পায়। চলতি মাসের শুরুর দিকে আরো হাজার ৬৩৫টি গাড়িকে অনুমোদন দেয়া হয়। সব মিলিয়ে সে সময় পর্যন্ত রাইডশেয়ারে চালানোর অনুমতিপ্রাপ্ত গাড়ির সংখ্যা ছিল হাজার ৮৯০। সম্প্রতি আরো হাজার ৩৪৮টি গাড়ি অনুমতি পেয়েছে। ফলে রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে রাইডশেয়ারে চলা গাড়ির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে হাজার ২৩৮। বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন গাড়ির এনলিস্টমেন্টের জন্য আবেদন জমা পড়ছে। সে অনুযায়ী গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়া হচ্ছে। প্রাইভেট কারের পাশাপাশি জিপ, মাইক্রোবাস অ্যাম্বুলেন্সও রাইডশেয়ারে চলাচলের অনুমতি দিচ্ছে বিআরটিএ।

গতকাল পর্যন্ত বিআরটিএর কাছ থেকে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় রাইডশেয়ার কোম্পানি উবার। প্রতিষ্ঠানটি সব মিলিয়ে হাজার ৯৬৪টি গাড়ি চালানোর অনুমতি পেয়েছে। ইজিয়ার বাংলাদেশ লিমিটেড ৯১, সিএনএস লিমিটেড ৬০ সেজেস্টা লিমিটেড পেয়েছে ৩০টি গাড়ি চালানোর অনুমতি। বাকিদের মধ্যে পিকমি লিমিটেড ২৯, ওভাই সলিউশনস লিমিটেড ৫৫, পাঠাও লিমিটেড আকিজ অনলাইন লিমিটেড পেয়েছে তিনটি গাড়ি চালানোর অনুমতি। এসব গাড়ি ঢাকা মহানগর, গাজীপুর মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী গাজীপুর জেলায় চলাচল করতে পারবে।

তবে সেলফোন অ্যাপ বা রাইডশেয়ারে মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দিচ্ছে না বিআরটিএ। সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, প্রাইভেট কারের মতো গাড়িতে প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মানা সম্ভব। কিন্তু মোটরসাইকেলে চালক যাত্রীর মধ্যে প্রয়োজনীয় দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। বাহনটি নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।

জানতে চাইলে বিআরটিএর পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং) লোকমান হোসেন মোল্লা বণিক বার্তাকে বলেন, মোটরসাইকেল রাইডশেয়ারে চলাচলের অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। যাত্রী চালকের মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের ঝুঁকি এড়াতেই এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে মোটরসাইকেল চালানোর অনুমতি দেয়া হবে।

এদিকে রাইডশেয়ারে মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও থেমে নেই বাহনটিতে যাত্রী পরিবহন। এক্ষেত্রে অ্যাপ ব্যবহার না করে যাত্রীর সঙ্গে চুক্তিতে গন্তব্যে পৌঁছে দিচ্ছেন চালকরা। ঢাকার প্রায় প্রতিটি মোড়েই দেখা মিলছে ধরনের মোটরসাইকেল চালকের জটলা। ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও বাহনটি ব্যবহারও করছেন অনেক যাত্রী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন