ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উদ্যোগে কোরবানির পশু বিক্রির অনলাইন প্লাটফর্ম ডিজিটাল হাট (www.digitalhaat.net)
উদ্বোধন করা হয়েছে। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবেলায় ডিএনসিসি, আইসিটি ডিভিশন, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশন যৌথভাবে এ ডিজিটাল হাট বাস্তবায়ন করছে। ক্রেতারা চাইলে ডিজিটাল হাট থেকে ন্যায্যমূল্যে কেনা কোরবানির পশু ঢাকার পাঁচটি এলাকা থেকে মাংস প্রক্রিয়াজাত করে নিজ নিজ ঠিকানায় ডেলিভারি নিতে পারবেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি। এতে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার। অনুষ্ঠানে বিশেষ
অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মত্স্য
ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান, এফবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম ও বাংলাদেশ ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইমরান হোসেন।
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন স্থানীয়
সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের
সিনিয়র সচিব হেলাল উদ্দীন আহমেদ ও মত্স্য ও পশুসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। এছাড়া ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, দারাজের এমডি সৈয়দ মোস্তাহিদল হক, নগদের সিইও তানভীর এ মিশুক উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে আস্থা তৈরি ও ঘরে বসে অনলাইনে গরু কেনাকাটার ব্যাপারে মানুষকে আগ্রহী করে তুলতে নির্দিষ্ট নীতিমালা মেনে সার্ভিস দেয়ার ক্ষেত্রে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্ধারিত জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে, অনলাইনে কেনা গরু ছাগলের পরিচর্যা এবং কোরবানির ব্যবস্থা করা; অনলাইনে কেনা গরু-ছাগল হালাল উপায়ে দক্ষ কর্মীর মাধ্যমে কোরবানি দেয়া; ডিজিটাল পদ্ধতিতে কোরবানি ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করে দ্রুত সময়ে কোরবানির মাংস হোম ডেলিভারি করা; ঘরে বসে অনলাইনে নিজের পশু কোরবানি দেখার জন্য লাইভ স্ট্রিমিংয়ের ব্যবস্থা করা; মনিটরিং অফিসারের মাধ্যমে গরুর ন্যায্যমূল্যে, ওজন এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করা; কোরবানির মাংস আত্মীয়স্বজনে বাসায় পৌঁছে দেয়া এবং দানের অংশ সুষ্ঠুভাবে বিতরণ করা; ডিজিটাল হাটে কিউআর কোডের মাধ্যমে পশু চিহ্নিত করা; স্বেচ্ছাসেবী দল, মাংসকর্মী ও সহকারীসহ সবার জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজার ব্যবস্থা করা এবং নির্দিষ্ট দূরত্বে অবস্থান করার পরিবেশ সৃষ্টি
করা।