ময়মনসিংহে কোরবানির পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে কড়াকড়ি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি ময়মনসিংহ

ময়মনসিংহ নগরীতে এবার কোরবানির পশুর হাট বসছে সাতটি। এবারের পশুর হাটে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক) বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। পশুর হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা যাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি সম্পূর্ণভাবে মানতে পারেন তার জন্য ইজারাদারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মসিক টিম বিশেষ নজরদারি করবে বলে জানিয়েছেন মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু।

মসিক এলাকায় শম্ভুগঞ্জ বাজারে রয়েছে স্থায়ী গরুর হাট। এছাড়া অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাট বসবে নগরীর সার্কিট হাউজসংলগ্ন আবুল মনসুর সড়ক, খাগডহর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ, জয়বাংলা বাজারসংলগ্ন (ছাইতান কান্দা মাঠ), সুতিয়াখালী স্কুল মাঠ (জিতেন্দ্রগঞ্জ বাজার), শিকারীকান্দা, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (জিটিআই) মাঠ।

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাটে পশু কোরবানিতে স্বাস্থ্যবিধি রক্ষার্থে ইত্তেফাকুল ওলামা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ইমাম সমিতি, কসাই সমিতির নেতাদের সঙ্গে জুলাই এক মতবিনিময় সভা করেন মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু। তিনি কোরবানির পশুর হাটে বয়স্ক শিশুসহ একটি পশু ক্রয়ে দু-তিনজনের অধিক মানুষ হাটে যাওয়া থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান।

টিটু বলেন, কোরবানির পশু জবাইকারী যেন প্রতিবার সাবান পানি দিয়ে হাত ধৌত করেন। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জবাই করার মাধ্যমে তিনিও সংক্রমণের ঝুঁকি তৈরি করতে পারেন। মাংস প্রস্তুত করার কাজে জড়িতরা সুস্থ কিনা সে বিষয়েও নজর দেয়া প্রয়োজন। মাংস প্রস্তুতকারী কারোর মাঝে জ্বর-কাশি বা করোনার উপসর্গ থাকলে তাকে কোনো বাসায় মাংস প্রস্তুতে না পাঠাতে কসাই সমিতির নেতাদের অনুরোধ করেন মসিক মেয়র।

ত্রিশালের গরুর খামারি মীর সাব্বির হোসেন বলেন, এবার আমার খামারের ১৫টি গরু কোরবানির হাটে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি। করোনার বর্তমান অবস্থায় এখন আতঙ্কের মধ্যে আছি। তারপর বছর গরুর বিভিন্ন রোগের কারণে খরচের পরিমাণ বেড়ে গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন