যত দিন যাচ্ছে কভিড-১৯ নিয়ে আমাদের নতুন নতুন তথ্য জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমদিকে কেবল হাঁচি-কাশির মাধ্যমে ভাইরাসটি ছড়ানোর কথা বলা হলেও এখন নানাভাবে ভাইরাসটি ছড়িয়ে যাওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সর্বশেষ এটাকে বায়ুবাহিত রোগ বলেও আভাস দিয়েছেন কিছু বিজ্ঞানী। নতুন একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ভাইরাসটি গর্ভবতী নরীর ভ্রূণেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে সেই মায়ের সদ্যভূমিষ্ঠ শিশুও কভিড-১৯ পজিটিভ হতে পারে।
ইতালির মিলান বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লোদিও ফেনিজিয়া ও তার সহকর্মীরা আন্তর্জাতিক এইডস সোসাইটি আয়োজিত একটি সম্মেলনে জানিয়েছেন, সংক্রমিত নারীদের দুটি শিশু কভিড-১৯ পজিটিভ হয়েই জন্মগ্রহণ করেছিল।
তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৩১ জন নারীর ওপর গবেষণা করেছেন, সংশ্লিষ্ট মায়েরা ইতালির মহামারীর চরম পর্যায়ে গর্ভাবস্থার শেষ দিকে ছিলেন। তারা ওই নারীদের শিশু, প্লাসেন্টা, নাড়ি ও বুকের দুধের পরীক্ষা করে দেখেছিলেন। তারা দেখেছেন, নবজাতকদের মধ্যে দুজনের জন্মের সময়ই কভিড-১৯ পজিটিভ ছিল।
গবেষকরা সারসংক্ষেপে লিখেছেন, ভাইরাসটি প্লাসেন্টা, নাভির রক্ত ও বুকের দুধে পাওয়া যায়।
সংবাদ সম্মেলনে ফেনিজিয়া বলেছেন, আমাদের ফলাফল দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে যে ৩১ জনের মধ্যে দুটি ক্ষেত্রে উলম্ব সংক্রমণ ঘটেছে। এ বিষয়ে এটাই প্রথম গবেষণা ও সতর্কবার্তা, যা এমন বিষয় সম্পর্কে সতর্কতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেয়। এ বিষয়গুলো ভালোভাবে অধ্যয়ন করা হয়নি। প্লাসেন্টা ফুলে যাওয়াও এ সংক্রমণের লক্ষণ। একজন নবজাতকের নাভির রক্তে অ্যান্টিবডি ছিল, যা সাম্প্রতিক সংক্রমণের ইঙ্গিত দেয়। এই অ্যান্টিবডিগুলো সাধারণত মা থেকে শিশুতে স্থানান্তর হয় না। তাই ভ্রূণ সরাসরি সংক্রমিত হয়েছিল বলেই মনে হয়েছে।
সিএনএন