চিকিৎসা সুরক্ষা আইনের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে চিকিৎসা সুরক্ষা আইনের দাবি উঠে এসেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক এক ওয়েবিনারে। এই আইনের আওতায় চিকিৎসা সেবা গ্রহীতা, সেবা দাতা ও ব্যবস্থাপকের অধিকার সংরক্ষিত হবে। একইসঙ্গে জবাবদিহিতা-স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে এবং দুর্নীতি ও সহিংসতা প্রতিরোধে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আজ শনিবার (১১ জুলাই) বিকালে ‘মেডিক্যাল নেগলিজেন্স অ্যান্ড ইসপ্যাক্ট অন হেলথ ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক ওয়েবিনারে অংশ নিয়ে বক্তারা নতুন আইন প্রণয়নের তাগিদ জানান। 

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে। সঞ্চালনা করেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. জিয়া হায়দার।

স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরাম নিয়মিতভাবে সাপ্তাহিক ওয়েবিনারের আয়োজন করে আসছে।

হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, আমাদের একটি চিকিৎসা সুরক্ষা আইন হতে হবে। যে আইনটি তিন পক্ষের অধিকার সুরক্ষা করবে। কভিডের সময় আমরা চারটা সমস্যার মুখোমুখি— করোনাভাইরাস, অদক্ষতা-অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতি। আজকের পৃথিবীতে ব্যক্তির পক্ষে কোনো কিছুই করা সম্ভব না, নির্ভর করে সে যে ব্যবস্থাপনার ভেতর দিয়ে কাজ করবে তার ওপরে। রাষ্ট্র চাচ্ছে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা বেসরকারি খাতে চলে যাক। এর ওপরে যে ধরনের নজরদারি করা দরকার সেটি করা হবে না। আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতি বলতে মনে করি, যার যা ইচ্ছা তাই করবে। এটিকে যে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেটি ভুলে গেছি।

ডা. লেলিন চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি মেডিকেল নেগলিজেন্সি ঘটনা ঘটেছে কভিড-১৯ আসার পরে। 

তিনি বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার ওপর দেশের মানুষের কেন আস্থা থাকবে? ডিজির করোনা হলো। তিনি তার আওতাধীন কোনো হাসপাতালে ভর্তি হলেন না। সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হলেন। কারণ তিনি জানেন, তার সময় এবং এখন কী হচ্ছে। 

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের আইনি সীমাবদ্ধতা দূর করতে হবে। নেগলিজেন্সি করে অনেকে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে থাকে। আমি আমার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ২৫ শতাংশ চিকিৎসক সময় মতো অফিসে আসেন না এবং সময়ের আগেই বের হয়ে যান। 

সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট আমিন উদ্দিন বলেন, আমাদের দেশে আইন আছে। আমি মনে করি সেসব আইন যেমন সংশোধন করা দরকার। একইসঙ্গে চিকিৎসা খাতের জন্য একটি কোডিফাই ল’ দরকার। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন