আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের খনিজ সমৃদ্ধ দেশ জাম্বিয়া। দেশটির রফতানি আয়ের বড় একটি অংশ আসে তামা রফতানি করে। চলতি বছরের মে মাসে জাম্বিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবহারিক ধাতুটির রফতানি আগের মাসের তুলনায় সাড়ে ১১ শতাংশের বেশি বেড়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত জাম্বিয়া স্ট্যাটিস্টিকস এজেন্সির (জামস্ট্যাটস) সর্বশেষ মাসভিত্তিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর মেটাল বুলেটিন ও লুসাকা নিউজ।
দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের মে মাসে জাম্বিয়া থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৮২ হাজার ২৮৭ টনের কিছু বেশি তামা রফতানি হয়েছে, যা আগের মাসের তুলনায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। গত এপ্রিলে জাম্বিয়ান রফতানিকারকরা আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৭৩ লাখ ৭১৭ টনের কিছু বেশি তামা রফতানি করেছিলেন। সেই হিসেবে এক মাসের ব্যবধানে দেশটি থেকে ব্যবহারিক ধাতুটির রফতানি বেড়েছে ৮ হাজার ৫৭০ টনের বেশি।
কয়েক সপ্তাহ ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম বাড়তির দিকে রয়েছে। লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জে (এলএমই) এরই মধ্যে ব্যবহারিক ধাতুটির দাম পাঁচ মাসের সর্বোচ্চে উঠেছে। এ পরিস্থিতি জাম্বিয়ার তামা রফতানিকারকদের সুবিধাজনক অবস্থানে নিয়ে গেছে। চলতি বছরের মে মাসে তারা প্রতি টন তামা রফতানির বিপরীতে গড়ে ৫ হাজার ২৩৩ ডলার ৮০ সেন্ট করে পেয়েছেন। গত এপ্রিলে ব্যবহারিক ধাতুটির গড় রফতানিমূল্য ছিল টনপ্রতি ৫ হাজার ৪৮ ডলার ৩০ সেন্ট। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে তামা রফতানি করে জাম্বিয়ার রফতানিকারকরা টনপ্রতি বাড়তি ১৮৫ ডলার ৫০ সেন্ট আয় করতে সক্ষম হয়েছেন।
জাম্বিয়া স্ট্যাটিস্টিকস এজেন্সির মহাপরিচালক মুলেঙ্গা মুসেপা বলেন, জাম্বিয়ার মোট রফতানির ৬৪ শতাংশ তামা ও কোবাল্টের দখলে। ফলে রফতানি আয়ের বড় একটি অংশ আসে এ দুটি ধাতু থেকে। চীন, ভারত, দক্ষিণ কোরিয়া ছাড়াও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ জাম্বিয়া থেকে রফতানি হওয়া তামা ও কোবাল্টের প্রধান ক্রেতা। আগামী দিনগুলোয় জাম্বিয়ার ধাতুর রফতানি বাজার বর্তমানের তুলনায় আরো চাঙ্গা হয়ে উঠতে পারে।
