বাগেরহাটের ফকিরহাটে করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হয়ে বাবা ও ছেলে এবং উপসর্গ নিয়ে এক গ্রাম পুলিশের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শনিবার (১১ জুলাই) খুলনা কভিড হাসপাতালে (ডায়েবেটিস হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক ইয়াদ আলী (৬০) মারা যান। বিকালে তার ছেলে খান জাহান আলী ওরফে বাদশা (২৪) চিকিৎসাধীন অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
এছাড়া আব্দুস ছালাম নামের এক গ্রামপুলিশ একই হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন।
এর আগে ৬ জুলাই করোনা উপসর্গ থাকায় ইয়াদ আলীর পুরো পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্য বিভাগ। পরদিন ইয়াদ আলীসহ তার পরিবারের চারজনের করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বুধবার (৮ জুলাই) সকালে ইয়াদ আলীকে খুলনা কভিড হাসপাতালে এবং তার ছেলেকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফকিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী ইয়াদ আলীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াদ আলীর ছেলেরও মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে ফকিরহাট উপজেলায় মোট চার জনের মৃত্যু হলো।
অসীম কুমার সমাদ্দার আরো বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া গ্রামপুলিশ আব্দুস ছালাম সকালে ফকিরহাট হাসপাতালে আসেন। তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। ফকিরহার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ তার মৃত্যু হয়। রিপোর্ট এলে নিশ্চিত হওয়া যাবে তিনি কভিড আক্রান্ত ছিলেন কিনা।
করোনায় দুই জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, এই নিয়ে বাগেরহাটে কভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে মোট ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আজকে খুলনা ও যশোর থেকে প্রাপ্ত রিপোর্টে আরো ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এনিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ২৮৮ জনে। এর মধ্যে ১৯০ জন সুস্থ ও অন্যরা চিকিৎসাধীন।