ইকুয়েডর থেকে আমদানি করা হিমায়িত চিংড়ির একটি কন্টেইনারের ভেতর ও দেয়ালে গত ৩ জুলাই করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব পেয়েছে চীনা কস্টম কর্তৃপক্ষ। এর পরিপ্রেক্ষিতে লাতিন আমেরিকার দেশটি থেকে চিংড়ি আমদানি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার এ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেন চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের (জিএসি) ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট ফুড সেফটি ব্যুরোর প্রধান বাই কেশিন।
তিনি বলেন, কন্টেইনারে করোনাভাইরাস পাওয়া গেলেও চিংড়ির শরীরে এবং ভেতরের প্যাকেটে নিউক্লিক অ্যাসিড পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।
তার সংবাদ সম্মেলনের কিছুক্ষণ পরেই জিএসি এক বিবৃতিতে ইকুয়েডরের তিনটি কোম্পানি থেকে চিংড়ি আমদানি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। বিবৃতিতে তারা নভেল করোনাভাইরাস দূষণের আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছে।
জিএসির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইকুয়েডরের ইন্ডাস্ট্রিয়াল পেসকুয়েরা সান্তা প্রিসিলা, এমপাক্রেসি এবং এমপাকাদোরা দেল প্যাসিফিকো সোসাইদাদ আনোনিমা এডপাসিফের পণ্যের প্যাকেটের গায়ে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে এসব কোম্পানির ১২ মার্চের পর প্যাকেজ করা চিংড়ি ধ্বংস করে ফেলারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
চীনের অ্যাকুয়াটিক প্রোডক্টস প্রোসেসিং অ্যান্ড মার্কেটিং অ্যালায়েন্সের হিসাবে, চলতি বছরের মার্চে ইকুয়েডর থেকে প্রায় ৩০ হাজার টন চিংড়ি আমদানি করেছে চীন।
বাইরে থেকে করোনাভাইরাসের অনু্প্রবেশ ঠেকাতে চীনের কাস্টম কর্তৃপক্ষ বন্দরে পণ্য পরীক্ষার বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে। এরই মধ্যে জিইসি করোনাভাইরাস দূষণের আশঙ্কায় ২৩টি কোম্পানি থেকে মাংস আমদানি স্থগিত করেছে।
তবে আমদানি স্থগিত করার সিদ্ধান্ত মানতে পারছে না ইকুয়েডরের কোম্পানিগুলো। স্থগিতের তালিকায় থাকা দুটি কোম্পানি কড়া বিবৃতি দিয়ে বলেছে, শুধু কন্টেইনারের দেয়ালে ভাইরাস পাওয়া গেছে। ভাইরাস দূষণের আশঙ্কাকে বাড়িয় বলছে চীন।
শুধু কন্টেইনারের ভেতরের দেয়ালে ভাইরাস পাওয়ার কারণে আমদানি স্থগিত করার মাধ্যমে চীন তার কোম্পানির সুনাম নষ্ট করছে বলে মন্তব্য করেছেন চিংড়ি রফতানিকারক কোম্পানি সান্তা প্রিসিলার প্রেসিডেন্ট সান্তিয়াগো সালেম।
সূত্র: সিজিটিএন, রয়টার্স