নোয়াখালীতে ধর্ষণ মামলার আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, নোয়াখালী

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি আকরাম (২৫) পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ২টার দিকে উপজেলার অর্জনতলা ইউনিয়নের উত্তর মানিকপুর এলাকায় এ বন্দুক যুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ একটি দেশীয় তৈরি এলজি ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।

নিহত আকরাম উত্তর মানিকপুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক এএসআইসহ পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, গেল ৬ জুন শনিবার সকালে ১৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কিশোরীকে তুলে নিয়ে পার্শ্ববর্তী একটি কবরস্থানে আকরামসহ কয়েকজন পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ১১ জুন রাতে সেনবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে রাতে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্তদের মধ্যে ফাহিম ও ফারুক নামে দুজনকে গ্রেফতার করে। তবে প্রধান আসামি পলাতক থাকায় তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ।

সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারেন প্রধান আসামি আকরামসহ কয়েকজন তার অর্জুনতলায় অবস্থান করছে। পরে সেনবাগ থানার ওসি আব্দুল বাতেন মৃধাসহ পুলিশ সদস্যরা অভিযান চালান। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আকরাম ও তার লোকজন পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। এ সময় পুলিশ ও তাদের সঙ্গে ব্যাপকগুলি বিনিময় হয়। এর মধ্যে পুলিশই শুধু ২২ রাউন্ড গুলি করে।

এক পর্যায়ে গুলি বিনিময় বন্ধ হলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আকরাম পড়ে থাকে। এ সময় তার পাশে একটি দেশীয় তৈরি এলজি, দুই রাউন্ড গুলি, ছয় রাউন্ড গুলির খোসা ও একটি চাইনিজ কুড়াল উদ্ধার করা হয়। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সেনবাগ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করা হয়।

জানতে চাইলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ছিলেন নিহত আকরাম। এ ঘটনায় পুলিশ হত্যা ও অস্ত্র আইনে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন