১১.০৭.২০২০

দিনটি যেমন

আজ ১১ তারিখ। আজ জন্মগ্রহণ করায় আপনার সঠিক জন্মসংখ্যা (১১=১+১) = ২। জন্মসংখ্যা ‘২’-এর জাতক বা জাতিকা হিসেবে আপনার মন স্বপ্নীল এবং আদর্শবাদী। সবার সাথে মিলে-মিশে কাজকর্ম করতে আপনি ভালো পারেন। কারণ, জোর-জবরদস্তির সাথে প্রভাব না খাটিয়েও, মানুষকে প্ররোচিত করার বিদ্যেটি আপনার রপ্ত করা আছে জন্মগতভাবেই। আপনার অধ্যাত্মবাদী চেতনা এবং ইনট্যুইশন ক্ষমতা খুবই প্রখর। আপনি সংবেদনশীল এবং সচেতন প্রকৃতির, আবার বেশ মেজাজীও। উন্নত মানসিকতা এবং প্রখর বিশ্লেষণী ক্ষমতা থাকার সত্ত্বেও, ব্যবসা-বাণিজ্যে আপনার সফলতা লাভের সম্ভাবনা একেবারেই কম। তবে, এ কথা স্বীকার করতেই হয় যে, আপনি একজন সৃজনশীল ব্যক্তি এবং কর্মী হওয়া অপেক্ষা স্বপ্নদ্রষ্টা হিসেবেই  বেশী সফল হতে পারবেন। ব্যক্তি হিসেবে আপনার জন্য- 

শুভ বর্ণ: সাদা, ক্রিম, আসমানী, হালকা নীল, বেগুনী, সবুজ এবং হালকা ধরনের যেকোনো রং।

শুভ বার: রবিবার এবং সোমবার।  

শুভ রত্ন: সবুজ জেড, মুক্তা এবং মুনস্টোন।   

গুরুত্বপূর্ণ তারিখ: ২, ৫, ৭, ৮, ১১, ১৪, ১৬, ১৭, ২০, ২৩, ২৫, ২৬ এবং ২৯।

গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা: ১, ২, ৫, ৭ এবং ৮।

উপযোগী পেশা: মিডিয়া-কমিউনিকেশন, শিক্ষকতা, মন্ত্রিত্ব, কাব্য-রচনা, পরামর্শদান, উদ্ভাবন-গবেষণা, মনোবিজ্ঞান, ডিজাইন-শিল্প, ধর্মীয় পৌরহিত্য বা সমাজকর্ম সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে কাজ করলে আপনি সবচেয়ে বেশী সফলতা লাভ করবেন। 

বিশেষ পরামর্শ: শারীরিক সুস্থতার স্বার্থে আপনি সব সময় গুরুপাক খাদ্যসামগ্রী এড়িয়ে চলতে এবং পরিমিত পরিমাণে পানি পান করতে চেষ্টা করুন।  

এবার অন্যান্য জন্মসংখ্যার ব্যক্তিদের সাথে আপনিও জেনে নিন আজকের দিনটি আপনার কেমন যেতে পারে?   

(১) পাকা আম কেবল একটি মুখরোচক জনপ্রিয় ফলই নয়, অত্যন্ত উপকারী একটি বস্তু। পাকা আম খেলে জীবনী শক্তি বাড়ে, যৌবন উদ্দীপ্ত হয় এবং চেহারার জেল্লা বাড়ে। এখন আমের মওসুম। তাই. প্রতিদিন আম খেতে চেষ্টা করুন দু/ চারটি। তবে, আপনি ডায়াবেটিস রোগী হ’লে একটার বেশি খাবেন না যেন! 

(২) আম গাছের কচি বা নরম কিছু পাতা খুঁজে নিন। তার মধ্যে থেকে একটি পাতা নিয়ে খুব ভালো মত চিবিয়ে তার সেই চিবানো পাতা দিয়ে দাঁত মাজুন। কিছুদিন এ রকম করলে কয়েকদিন পরই লক্ষ করবেন, আপনার দাঁতগুলো আগের তুলনায় অনেক মজবুত হয়েছে। দাঁত ব্যথাও চলে গেছে। 

(৩) বলতে পারবেন কোনো গাছের পাতা থেকে আবার নতুন করে গাছ জন্ম নেয়? এই গাছটির নাম পাথরকুচি। ২-৩টি পাথরকুচি পাতা নিয়ে তার থেকে রস সেবন করুন। রস করা ঝামেলা মনে হলে, আস্ত পাতাই  চিবিয়ে তারপর একগ্লাস পানি দিয়ে খেয়ে নিন। ডায়বেটিস সমস্যা দূর করতে এটি একটি মহৌষধ।   

(৪) দৃষ্টিশক্তি সমস্যাগ্রস্ত হলে বা কমে গেলে কিম্বা রাতকানা রোগে আক্রান্ত হলে, প্রতিদিন আম খাবেন একটি বা দুটি। এখন বাজারে আমের ছড়াছড়ি, তাই প্রতিদিন নিয়ম করে আম খান। তবে, স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি, আপনি যদি ডায়াবেটিস আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তবে, আম একটার বেশি খাবেন না একদিনে।  

(৫) ডায়াবেটিস রোগীদের একটি’র বেশি আম বা কোনো মিষ্টি ফলই খাওয়া উচিৎ নয়। কিন্তু, প্রতিদিন নিয়ম করে যদি আপনি একটি বা দুটি আম পাতা চিবিয়ে বা পাতার রস বের করে খান, অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই লক্ষ করবেন, ব্লাড সুগার অনেকখানিই কমেছে। কাজ-কর্মে বাধা পেরিয়ে যেতে ধৈর্যশীল থাকুন আজ। 

(৬) হজমে গোলমাল হচ্ছে, আম খেলে তা দূর হয়ে যাবে। দাওয়াত-নিমন্ত্রণে খাওয়াটা যদি একটু বেশি হয়ে যায় কিম্বা মুখের মজায় ঘরের খাবারই যদি পেটে একটু বেশি চলে যায়, আম খেয়ে নিন খাবার শেষে। দেখবেন, কিছুক্ষণ পরই আবার ক্ষুধার অনুভূতি বোধ করবেন আপনি। কারন, আম হজম শক্তি বাড়িয়ে তোলে। 

(৭) স্নায়ু সমস্যা নিরসনে অনতিবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করুন। তবে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল-ফলাদি স্নায়ু-সমস্যার সমাধানে অতি কার্যকরী কোনো ভূমিকা রাখে। এছাড়া নিয়মিত খাঁটি ঘি সেবন করাও এ বিষয়ে বেশ স্বাস্থ্যপ্রদ। বিরুদ্ধ আবহাওয়ায় নিজের নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন। উপকরণ মজুদ রাখুন- যে কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার। 

(৮) আপনার লিভারের সমস্যাকে বাড়তে দিতে না চাইলে, ফাস্টফুড আর জাঙ্ক ফুড খাওয়া বাদ দিন। বাদ দিন মানে বিষ মনে করে দূরে থাকুন এসব খাবার থেকে। আকাশ বা জলপথে ভ্রমণে সতর্কতার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। ভালোবাসার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন ভালোবাসার মানুষটির প্রতি। বিনিয়োগে বিরত থাকুন আজ। 

(৯) গ্যাস্ট্রিক সমস্যা নিয়ে ভুগে থাকেন প্রায়ই আপনি?  সমস্যা প্রকট হলে দিনে ৩ বেলা বা ৮ ঘন্টা পরপর  এবং সমস্যা সামান্য  হলে ২ বেলা অর্থাৎ ১২ ঘন্টা পরপর কয়েকটি মেথি চেবিয়ে একদম গুড়াগুড়া করে নিন। তারপর এক গ্লাস পানি মুখে নিয়ে মেথিটুকু গিলে ফেলুন। সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি মিলবে সহজেই। 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন