ইতালিফেরত ১৪৭ জন আশকোনায় কোয়ারেন্টিনে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ইতালিতে পৌঁছেও বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসা ১৪৭ জন বাংলাদেশীকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের অংশ হিসেবে আশকোনা হজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ভোররাতে ইতালি থেকে ফেরত পাঠানো কাতার এয়ারওয়েজের উড়োজাহাজটি তাদের নিয়ে ঢাকায় পৌঁছে।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, উড়োজাহাজটির যাত্রীদের নিয়মমাফিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে কারো মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের উদ্দেশ্যে আশকোনা হজ ক্যাম্পে পাঠানো হয়।

আশকোনা কোয়ারেন্টিন সেন্টারের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল সংবাদমাধ্যমকে জানান, প্রাথমিক স্ক্যানিং শেষে ফেরত আসা কোনো যাত্রীর মধ্যে কভিড-১৯-এর কোনো ধরনের উপসর্গ পাওয়া যায়নি। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। ফেরত আসা যাত্রীদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে কিনা তা নির্ধারণ করা হবে ক্যাম্পে থাকা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিকিৎসকদের পরামর্শের ভিত্তিতে।

এর আগে গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. যাহিদ হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, ইতালি থেকে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইট ১৫১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে নিয়ে জুলাই দিবাগত রাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে। বাংলাদেশে ফেরত আসা ব্যক্তিদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখার ব্যবস্থা করা এবং তাদের কভিড-১৯ পরীক্ষা করে রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

প্রসঙ্গত, গত জুলাই বাংলাদেশ থেকে রোমে যাওয়া একটি ফ্লাইটের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রীর শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে সব ধরনের ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণা দিয়েছে ইতালি। ঘোষণার পরও জুন বাংলাদেশ থেকে কাতার হয়ে ইতালিতে যাওয়া দুটি ফ্লাইটের ১৬৮ বাংলাদেশীকে ফিরিয়ে দিয়েছে ইতালি। বাংলাদেশ থেকে যাওয়া যাত্রীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়ায় প্রথমে এক সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে ফ্লাইট বাতিল করে ইতালি। তবে পরে এই সময়সীমা বাড়িয়ে আগামী অক্টোবর পর্যন্ত করেছে দেশটি। বুধবার ( জুলাই) রাতে -সংক্রান্ত নোটাম (নোটিস টু এয়ারম্যান) জারি করেছে ইতালি।

এতে বলা হয়েছে, ‘ইতালিয়ান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বাংলাদেশে থেকে আসা সব যাত্রী ফ্লাইট ইতালিতে প্রবেশ করতে পারবে না। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় কোনো এয়ারলাইনস বাংলাদেশে থেকে কোনো যাত্রী আনতে পারবে না। এমনকি কোনো ট্রানজিট ফ্লাইটেও বাংলাদেশ থেকে আসা যাত্রী আনা যাবে না।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন