শিক্ষার্থীদের সহায়তায় হুয়াওয়ের ডিজিটাল সমাধান

নিজস্ব প্রতিবেদক

কভিড-১৯ মহামারীর ভয়াবহ পরিস্থিতিতে স্কুল থেকে দূরে থাকা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা সহজ করতে বিজয় ডিজিটালের সঙ্গে একটি যৌথ উদ্যোগ শুরু করেছে হুয়াওয়ে বাংলাদেশ। উদ্যোগের অধীনে ব্রিজিং দ্য ডিজিটাল এডুকেশন ডিভাইড টু রিডিউস দ্য গ্যাপ প্রকল্পের মাধ্যমে দেশব্যাপী টিঅ্যান্ডটি হাই স্কুলগুলোতে প্রি-স্কুল থেকে চতুর্থ শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মাঝে হুয়াওয়ে স্মার্ট ডিভাইস, বিজয় ডিজিটাল অ্যাপ কানেক্টিভিটি পৌঁছে দেয়া হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সমন্বিত সহযোগিতায় রয়েছে ইউনেস্কো বাংলাদেশ।

গত বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে উদ্যোগের কথা ঘোষণা করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের ডাক টেলিযোগাযোগ সচিব মো. নূর-উর-রহমান, বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন, বাংলাদেশে ইউনেস্কোর হেড অব অফিস ইউনেস্কো প্রতিনিধি বিয়াট্রিস কালদুন, বিজয় ডিজিটালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেসমিন জুঁই, বনানীর টিঅ্যান্ডটি বয়েজ হাই স্কুলের অধ্যক্ষ হালিমা বেগম এবং হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন।

কভিড-১৯ মহামারীর শুরু থেকেই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দেশের সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতে অনেক স্কুল দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। দেশব্যাপী বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা নেই। তাই ডিজিটাল প্রযুক্তির সঙ্গে বিনা মূল্যে ডিভাইস ব্যবহারের সুবিধা শিক্ষা খাতের রূপান্তরে এবং বৈশ্বিক মহামারীর মতো পরিস্থিতিতেও দেশে সাক্ষরতার হার বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

বিষয়ে মোস্তাফা জব্বার বলেন, কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাবের পর বিস্তার ঠেকাতে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়। পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায়ে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখতে বাংলাদেশ সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যেসব শিক্ষার্থী পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এবং জাতিসংঘের সংস্থার সঙ্গে হুয়াওয়ের সম্মিলিত উদ্যোগ বেশ আশাব্যঞ্জক। এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

মো. নূর-উর-রহমান বলেন, গুণগত শিক্ষার মাধ্যমে প্রতিটি ব্যক্তিই তাদের সম্ভাবনার ক্ষেত্র উন্মোচন করতে পারে, যা আর্থসামাজিক উন্নয়নের পথকে সুগম করে। উদ্যোগ বর্তমান সময়সহ দীর্ঘমেয়াদে আমাদের শিক্ষার্থীদের সহায়তা করবে।

বিটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রফিকুল মতিন বলেন, বহু বছর ধরে টিঅ্যান্ডটি স্কুলগুলো প্রথাগত পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তবে প্রকল্প আমাদের শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল শিক্ষায় সুযোগ গ্রহণের বিষয়কে ত্বরান্বিত করবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রাপ্তির বিষয়টি আমাদের জন্য নিঃসন্দেহে আনন্দের। উদ্যোগের জন্য হুয়াওয়েকে ধন্যবাদ।

হুয়াওয়ে টেকনোলজিস (বাংলাদেশ) লিমিটেডের সিইও ঝাং ঝেংজুন বলেন, বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর পর থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশ যাত্রার অংশ হতে পেরে হুয়াওয়ে গর্বিত। সম্পূর্ণরূপে কানেক্টেড ইন্টেলিজেন্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের লক্ষ্য অর্জনে হুয়াওয়ের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আমরা বিশ্বাস করি, সব ক্ষেত্রে প্রত্যেক ব্যক্তির শিক্ষা লাভ সমান সুযোগ প্রাপ্তির অধিকার রয়েছে। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে শিক্ষা কার্যক্রমে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে তার সমাধান হবে। স্কুলগুলোতে ইন্টারনেট সুবিধা ডিজিটাল প্রযুক্তি পৌঁছে দেয়া গেলে তা সুবিধাবঞ্চিত সম্প্রদায়ের মাঝে দূরশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষার সুযোগ তৈরি করবে, যা দেশজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা সুযোগ উন্মোচন করবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন