বান্দরবান যুব উন্নয়ন কেন্দ্র

প্রশিক্ষণার্থী করোনা শনাক্ত হওয়ার পরও চলছে প্রশিক্ষণ

বণিক বার্তা প্রতিনিধি বান্দরবান

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকায় বান্দরবান পৌরসভা লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রশাসন। অবস্থার মধ্যেও যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঁচ ধরনের প্রশিক্ষণে ১৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে এক প্রশিক্ষণার্থী করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন। তার পরও বন্ধ করা হয়নি প্রশিক্ষণ কার্যক্রম।

জানা গেছে, বালাঘাটা পুলিশ লাইনের মুখোমুখি অবস্থিত যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে গতকাল পর্যন্ত টানা তিনদিন প্রশিক্ষণার্থীদের নিয়ে পাঁচ ধরনের প্রশিক্ষণ চলমান রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে পাওয়া পরীক্ষার ফলে পজিটিভ হন যুব উন্নয়নের কাজু বাদাম উৎপাদন বিষয়ক প্রশিক্ষণে অংশ নেয়া এক নারী। বিষয়টি রাতেই জানতে পারেন বলে জানান তার স্বামী।

গতকাল বিকালে ওই নারীর স্বামী প্রতিনিধিকে বলেন, গত সোমবার তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনই নমুনা দেন। পরদিন তার স্ত্রীর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে। পরদিন থেকে তার স্ত্রী আর প্রশিক্ষণে অংশ নেয়নি।

ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক সাইফুদ্দিন মো. হাছান আলী জানান, জুনের প্রথম সপ্তাহে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে চলমান পাঁচ ধরনের প্রশিক্ষণ দেয়ার জন্য মৌখিকভাবে অনুরোধ করা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে লকডাউনের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব মেনে গত মঙ্গলবার থেকে আগামীকাল শনিবার পর্যন্ত ১৫০ জনকে নিয়ে কেন্দ্রে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।

জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ২০১৯-২০ অর্থবছরের দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য যুবদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি কর্মসূচির আওতায় ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ পায়। এর আওতায় যুব উন্নয়নের নির্বাচন করা ১৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে আসতে বলা হয়েছে। একজন প্রশিক্ষণার্থী শনাক্ত হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, তাহলে তো সবাই ঝুঁকিতে আছেন। গত বুধবার আমি নিজে কেন্দ্র পরিদর্শন করার সময় প্রশিক্ষণার্থীদের মাস্ক পরিহিত দেখেছি।

বিষয়ে বান্দরবান পৌরসভার প্যানেল মেয়র দিলীপ বড়ুয়া বণিক বার্তাকে বলেন, বিষয়টি পৌর এলাকার জন্য খুবই স্পর্শকাতর। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এর দায় এড়াতে পারে না। বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

লকডাউনের মধ্যে প্রশিক্ষণ দেয়ার বিষয়ে জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এটিএম কাউছার হোসেন গতকাল বণিক বার্তাকে বলেন, শিডিউল করা কর্মসূচিটি গত অর্থবছরের। এটি না করলে টাকা ফেরত যাবে। তাই এর মধ্যে করা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন