সম্মেলনে শ্রম প্রতিমন্ত্রী

ক্রয়াদেশ চুক্তির শর্তপূরণ নিশ্চিতে আইএলওর অগ্রসর হওয়া উচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মোকাবেলায় ক্রয়াদেশ বাতিল রোধসহ চার বিষয়ে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সহযোগিতা চেয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। গ্লোবাল সামিট উপলক্ষে আয়োজিত সেশনের ভার্চুয়াল সভায় দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব সহযোগিতা চান। গতকাল রাত ৮টার দিকে আইএলও গ্লোবাল সামিট অন কভিড-১৯ অ্যান্ড ওয়ার্ল্ড অব ওয়ার্ক-বিল্ডিং বেটার ফিউচার অব ওয়ার্ক সম্মেলনে কভিড-১৯: ওয়ার্কিং টুগেদার টু বিল্ড ব্যাক বেটার শীর্ষক সেশনের ভার্চুয়াল সভায় সদস্য দেশগুলোর শ্রমমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনায় বক্তৃতা দেন মন্নুজান সুফিয়ান।

বক্তৃতায় মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ রফতানি বিশেষ করে পোশাক খাতে ক্রয়াদেশ বাতিলের কারণে বড় ধরনের পতনের অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে। অনেক কারখানা মালিক উৎপাদন বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি মহামারীর প্রভাবে বিপুল পরিমাণ প্রবাসী বাংলাদেশী কাজ হারিয়েছেন এবং রেমিট্যান্স নিয়ে সংকট মোকাবেলা করছেন। পরিস্থিতিতে আইএলওর সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন প্রতিমন্ত্রী।

করোনা মোকাবেলায় ক্রয়াদেশ বাতিল রোধসহ চার বিষয়ে আইএলওর সহযোগিতার বিষয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, প্রথমত, ক্রয়াদেশ বাতিল না করা বিদ্যমান চুক্তির শর্তপূরণ করার বিষয়ে ক্রেতাদের বলতে এগিয়ে আসা উচিত আইএলওর। দ্বিতীয়ত, মহামারীকালে অভিবাসী শ্রমিকদের চাকরি নিশ্চিত করা উচিত আইএলওর। তৃতীয়ত, বাজার প্রবেশাধিকারে দুর্বল অর্থনীতিগুলোর অগ্রাধিকার দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা উচিত আইএলওর। আর বর্তমান পরিবেশের চ্যালেঞ্জ নিয়েই আইএলওর শতবর্ষপূর্তিতে দেয়া ঘোষণা ২০৩০-এর এজেন্ডাগুলো বাস্তবায়নে আমাদের একসঙ্গে কাজ করে যাওয়া অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানান শ্রম প্রতিমন্ত্রী। 

মন্নুজান সুফিয়ান আরো বলেন, আইএলওর সাহায্য নিয়ে কভিড-১৯ সময়ে পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা একটি বিধিমালা তৈরি করেছি। একটি ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি যা নজরদারি করছে। চলমান কভিড-১৯ পরিস্থিতি পরবর্তীতে ভালো ভবিষ্যৎ গড়তে ত্রিপক্ষীয় সামাজিক সংলাপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।   

করোনা মহামারী সংকট মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের নেয়া বেশকিছু পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কভিড-১৯ মহামারী সংকটের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা হিসেবে অর্থনৈতিক সমাজের বিভিন্ন সেক্টরের মানুষকে সহযোগিতা করতে ১২ দশমিক বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করেন। গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন পরিশোধে   বিলিয়ন ডলার বরাদ্দসহ অন্যান্য সুবিধা দেয়ার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী করোনা মোকাবেলায় তার মন্ত্রণালয়ের নেয়া পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরে বলেন, শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় শ্রমিকদের জন্য টেলিমেডিসিন সেবা চালু এবং আইএলওর সহযোগিতায় কভিড-১৯ প্রতিরোধে পেশাগত স্বাস্থ্য সেফটি গাইডলাইন তৈরি করেছে। সময় প্রতিমন্ত্রী করোনা মহামারী নিয়ে সম্মেলন আয়োজনের জন্য আইএলওর মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন