সুদহার রেকর্ড সর্বনিম্নে অপরিবর্তিত রেখেছে আরবিএ

বণিক বার্তা ডেস্ক

রিজার্ভ ব্যাংক অব অস্ট্রেলিয়া (আরবিএ) তাদের রেকর্ড সর্বনিম্ন ক্যাশ রেট বা সুদহার অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির মাসিক পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বর্তমানে আরবিএর ক্যাশ রেট দশমিক ২৫ শতাংশ। খবর ব্লুমবার্গ।

এক বিবৃতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের বিধিনিষেধ কিছুটা শিথিল হওয়ায় অর্থনীতিতে ধীরে ধীরে উত্তরণের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। কিন্তু তার পরও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের ধরন গতি নিয়ে এখনো ব্যাপক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। কারণেই ক্যাশরেট রেকর্ড সর্বনিম্নে অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আরবিএ গভর্নর ফিলিপ লোয়ি বলেছেন, যতক্ষণ না পূর্ণকর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ ক্যাশরেট বাড়ানো হবে না। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিশ্বাস করে, অস্ট্রেলিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী থেকে শতাংশের মধ্যেই স্থিতিশীল থাকবে।

লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করা হলেও অস্ট্রেলিয়া যে নভেল করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়ে যায়নি, তা মেলবোর্ন পরিস্থিতির দিকে তাকালেই পরিষ্কার হয়। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরটিতে নতুন করে ছয় সপ্তাহের জন্য লকডাউন আরোপ করা হয়েছে এবং সেখানে সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। মেলবোর্নের পরিস্থিতি দেখে অস্ট্রেলিয়ায় করোনার দ্বিতীয় জোয়ার দেখা দেয়ার আশঙ্কা আরো জোরালো হয়েছে।

আরবিএ এই অনিশ্চয়তার বিষয়টিকেই বিবেচনায় নিয়েছে। বৈঠক শেষে গভর্নর ফিলিপ লোয়ি বলেছেন, প্রথম দিকে যেমন আশঙ্কা করা হয়েছিল, অর্থনৈতিক পতন তার চেয়ে কিছুটা কম হয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে পরিস্থিতিও কিছুটা স্থিতিশীল হয়েছে। কিন্তু জনস্বাস্থ্য অর্থনীতির ভবিষ্যৎ শক্তিমত্তা নিয়ে এখনো অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণে অস্ট্রেলিয়ার বেশির ভাগ গৃহস্থালি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারণে ভোক্তাব্যয় বিনিয়োগ পরিকল্পনাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

বেসরকারি খাতের পশ্চাত্পসরণের প্রভাব যেন অর্থনীতিতে সেভাবে না পড়ে, সেজন্য প্রণোদনা চালু রাখতে আর্থিক নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আরবিএ। প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের সরকার ২৩ জুলাই ইকোনমিক স্টেটমেন্ট প্রকাশ করবে। সেখান থেকে জানা যাবে যে সরকার তাদের প্রণোদনা আরো বাড়াবে কিনা অথবা তারা আর কতদিন প্রণোদনা কর্মসূচি অব্যাহত রাখবে।

সারা বিশ্বের মতো অস্ট্রেলিয়ায়ও বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনার কারণে এপ্রিল মে মাসে সেখানে আট লাখের বেশি মানুষ চাকরি হারিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছর অস্ট্রেলিয়ায় বেকারত্বের হার শতাংশে উঠে যেতে পারে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন