স্কুল বন্ধ থাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন সবাই

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারী শিক্ষক-শিক্ষার্থী অভিভাবকদের জুম ফেসটাইমের মতো অনলাইন সফটওয়্যারের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসে যোগ দিতে বাধ্য করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমদিকে এটাকে বিরাট প্রচেষ্টা হিসেবে মনে হলেও ধীরে ধীরে সবাই আশাহত হতে থাকে। অনলাইন শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের সহায়তা দেয়া অভিভাবকরা ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, এমনকি তারা চিন্তিতও হয়ে পড়েছেন যে তাদের বাচ্চারা এভাবে একাডেমিকভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে। এজন্য এখন সবাই জানতে চাচ্ছেন এভাবে আর কতদিন চলবে?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখানে শিক্ষার্থীদের সুস্থতা জড়িত। বিদ্যালয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে একেক বাবা-মা একেক রকম চিন্তা করছেন। কোনো বাবা-মা তাদের বাচ্চাকে বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহী, আবার কোনো বাবা-মা অনলাইন ক্লাসেই বেশি আগ্রহী।

ওয়াশিংটন ডিসির চিলড্রেনস ন্যাশনাল হসপিটালের শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাথানিয়েল বিয়ার বলেন, সময়ে শিশুদের বিদ্যালয় নিয়ে বাবা-মায়ের উদ্বিগ্ন হওয়া স্বাভাবিক। তবে কোনো বাবা-মায়ের পক্ষেই সিদ্ধান্ত নেয়া সহজ নয়। আর বিদ্যালয়ে কেবল শিশুদের পড়াশোনা হয়, বিষয়টা এমন নয়। শিশুদের সামাজিক সংবেদনশীলতা বিকাশেও বিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া শিশুদের যেহেতু গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি কম, তাই বিদ্যালয় খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া যেতে পারে।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে স্কুল সুপারিনটেনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের একটি জরিপে দেখা গেছে, ১২ জন সুপার বিদ্যালয় খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। তারা বলছেন, মহামারীর সময়ে নানা অসুবিধার কারণে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে শিক্ষা দেয়া চ্যালেঞ্জ ছিল। শিক্ষার্থীদের ঘরে ইন্টারনেটের অভাবও একটি বড় সমস্যা ছিল।

তবে আগামী সেপ্টেম্বর থেকে কিছু কিছু রাজ্যের বিদ্যালয়গুলো পুরোদমে চালু করা হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন