ইস্পাত কারখানায় আমদানিকৃত কাঁচামালে মিললো তাজা গ্রেনেড

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকায় অবস্থিত একটি ইস্পাত কারখানায় আমদানি করা কাঁচামালের ভেতরে পাওয়া গেছে একটি তাজা গ্রেনেড । কারখানায় গতকাল বুধবার সন্ধায় গ্রেনেডটি দেখা গেলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। খবর পেয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজমের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা গ্রেনেডটি উদ্ধার করে। পরে কারখানাটির দক্ষিণে একটি খোলা মাঠে এটি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। 

আজ বৃহস্পতিবার নগর পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আমদানি হওয়া ইস্পাত কাঁচামালের ভেতর তাজা গ্রেনেডটি মিলেছে । পুলিশের বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটের সদস্যরা গিয়ে ‘আর্জেস’ গ্রেনেডটি নিষ্ক্রিয় করে। তবে গ্রেনেডটিতে জং ধরা ছিল । 

চট্টগ্রাম পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার পলাশ কান্তি এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, একটি কারখানা থেকে তাজা গ্রেনেডটি উদ্ধার করার পর পরই আমরা নিষ্ক্রিয় করেছি । কারখানার যে লটে গ্রেনেডটি পাওয়া গেছে সেটি আমদানি করা একটি চালান ।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, চট্টগ্রাম পোর্ট ট্রেড ফ্যাসিলিটেশন প্রকল্পের আওতায় অঘোষিত ও বিস্ফোরকজাতীয় পণ্য আমদানির পাশাপাশি নিরাপত্তাঝুঁকি কমাতে ২০০৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে স্ক্যানিং বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বন্দরে স্ক্যানার দিয়ে রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধের কাজটি করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ । আর আমদানি রফতানি চালানে কোনো বিস্ফোরক, অস্ত্র বা নিরাপত্তা হুমকি সৃষ্টিকারী কোনো পণ্য আছে কি না তা যাচাই কাজটি করে থাকে বন্দর কর্তৃপক্ষ । 

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালক (নিরাপত্তা) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আহমেদ জুনাইদ আলম খান বণিক বার্তাকে বলেন, বন্দর দিয়ে রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ বিস্ফোরক কিংবা এ জাতীয় বস্তু চিহ্নিত করার জন্য সার্বক্ষণিক স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে । তবে ইস্পাত কারখানায় আমদানির হওয়া চালানে গ্রেনেড পাওয়ার বিষয়টি আমি অবগত নই। তাই এ বিষয়টি নিয়ে আর মন্তব্য করতে চাচ্ছি না ।

ওই ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষ বলেছে, আমদানি করা ওই কাঁচামাল শ্রমিকরা বাছাই করার সময় গ্রেনেডটি দেখতে পায় । সঙ্গে সঙ্গে মিরসরাই থানাকে বিষয়টি অবহিত করা হয়। পরে পুলিশ এসে পদক্ষেপ নেয় । 

ইস্পাত কোম্পানিটির উপব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন সেন গুপ্ত এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, আমদানি হওয়া স্ক্র্যাপের ভেতর এটি এসেছে। আমরা আমদানির পর কাঁচামালকে সেফটি রুলস অনুযায়ী গুরুত্বের সঙ্গে যাচাই করি ।  বাছাইয়ের সময় এটি নজরে পড়েছে । আমরা এখন তদন্ত করছি কোন দেশ থেকে এই স্ক্র্যাপ এসেছে। কারণ প্রতি মাসে লাখ লাখ টন স্ক্র্যাপ আমাদের প্রয়োজন হয়, যেগুলো একাধিক দেশ থেকে আনতে হয়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন