রিজেন্ট হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

নিজস্ব প্রতিবেদক

পরীক্ষা না করেই কভিড-১৯ শনাক্তের ভুয়া রিপোর্ট দেয়ায় মেয়াদপূর্তির পরও লাইসেন্স নবায়ন না করায় রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা মিরপুর শাখা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় মেডিকেল প্র্যাকটিস অ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক অ্যান্ড ল্যাবরেটরি রেগুলেশন অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী হাসপাতালটির কার্যক্রম অবিলম্বে বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ক্লিনিকসমূহ) ডা. মো. আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২০ সালের মার্চ থেকে কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিল হাসপাতালটি। কিন্তু জুলাই র্যাবের অভিযানে রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা শাখা যেটি মূল শাখা হিসেবে বিবেচিত সেখানে বিভিন্ন অনিয়ম ধরা পড়ে, যা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, হাসপাতাল দুটি রোগীদের কাছ থেকে অন্যায়ভাবে বিরাট অংকের টাকা আদায় করছে। অনুমোদন না থাকা সত্ত্বেও আর-পিসিআর পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্ট প্রদান করে টাকা হাতিয়ে নেয়া, তাগাদা দেয়া সত্ত্বেও লাইসেন্স নবায়ন না করাসহ আরো অনিয়ম করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।

দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর পরই গত মার্চে রিজেন্ট হাসপাতালকে কভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্দিষ্ট করেছিল সরকার। তবে কভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষার জাল সনদ তৈরি বিক্রির অভিযোগ পেয়ে সোমবার উত্তরায় রিজেন্ট হাসপাতাল রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযানে অনুমোদনহীন টেস্ট কিট বেশকিছু ভুয়া রিপোর্ট পাওয়ার পর ওই হাসপাতাল রিজেন্টের কার্যালয় সিলগালা করে দেয়া হয়।

অভিযান পরিচালনাকারী দলের নেতৃত্বে থাকা র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম ওই সময় জানান, রিজেন্ট হাসপাতাল যে সংখ্যক পরীক্ষা করিয়েছে, তার প্রায় তিন গুণ বেশি নমুনা সংগ্রহ করেছে। আর নমুনা পরীক্ষা না করেই ইচ্ছামতো প্রতিবেদন দিয়েছে। প্রক্রিয়ায় তারা কোটি ৪৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন