করোনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আনবে কিনা

মাহমুদ রেজা চৌধুরী

এই প্রশ্নটা হয়তো এখন  অনেকের। কঠিন এবং স্পর্শকাতর প্রশ্ন। সহজ উত্তর দেয়া যাবে কিনা জানি না। করোনা একটি সংক্রামক ব্যাধি, যা বিশ্বকে আক্রমণ করে দুই হাজার বিশ সালে। ইতিহাস বলে অনেক সময় শত বছরে পৃথিবী নাকি নানা কিছুতে বদলায়। কোভিট ১৯, একটি সংক্রামক ব্যাধি। এর প্রতিরোধক ভ্যাক্সিন আবিষ্কার হতে পারে। কিন্তু আমাদের স্বভাব চরিত্রের সংস্কারের ভ্যাকসিন কি আবিষ্কার হবে?

করোনা আমাদেরকে অনেক কিছু শিখিয়েছে। অন্যতম হলো, একা বা নিজে রোগমুক্ত থাকাটাই যথেষ্ট না। বরং আচার-আচরণের প্রকাশে অন্যকে যেন শারিরিক ও মানসিকভাবেও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারি।

এই বোধদয়ের ব্যপ্তি শারীরিক স্বাস্থ্যের সাথে অন্যান্য সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রেও জরুরী ভূমিকা রাখতে পারে। ব্যক্তির শারীরিক সুস্থতার সাথে মানসিক এবং আর্থিক সুস্থতা জড়িত। প্রকারান্তরে যা রাজনীতির সাথে যুক্ত। আমরা এই শিক্ষাটুকু কতটুকু পেলাম বা বুঝলাম, করোনাত্তর সামগ্রিক জীবন বোধে তা বোঝা যাবে।  

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক রাজনীতির ‘বডি পলিটিক্স’ বা বাহ্যিক আচরণ কৃষ্টি যে কোনো প্রাকৃতিক মহামারীর চাইতেও ভয়ানক। এটা খুব যে সাম্প্রতিক ঘটনা তাও না। স্বাধীনতা-উত্তর সময় থেকেই আমাদের রাজনীতির সংস্কৃতি এবং এর ‘বডি পলিটিক্স’ করোনার মতই ভয়ঙ্কর।

বাংলাদেশে করোনার আবির্ভাবের সরকারি ঘোষণার পর থেকে পুরো বিষয়টা সামাল দেবার প্রচেষ্টাতে সাধারণ নাগরিক শ্রেণীতে এই ব্যাপারে একটা অস্বচ্ছ বা একলা চলার নীতিকেই  গুরুত্ব পেতে দেখেছি। সরকার যেমন চাচ্ছেন বা চেয়েছেন তার একক নেতৃত্বে বা নিয়ন্ত্রণে সমস্যার সমাধান দিতে, তেমনি সরকারের নিন্দুকেরা বা সমালোচকরা এই সমস্যার সমাধানে যতটা উদ্যেগি ভূমিকা রেখেছেন তার চেয়ে বেশি অন্যের সমালোচনা বা সরকারের সমালোচনাতে আগ্রহ পোষণ করেছেন বেশি।

যাই হোক, বর্তমানে কি ঘটছে এর চাইতেও গুরুত্বপূর্ণ চিন্তা এই সংকট উত্তরণে আমাদের রাজনীতি এবং রাজনৈতিক পরিবর্তন ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে কিনা। আমরা কি সকলে মিলে এক থাকবো, নাকি একা একা সফল বা সবল হবো। বাংলাদেশের রাজনীতিতে করোনা কি পরিবর্তন আনতে পারে বা সত্যি পারবে কিনা, বিষয়গুলি নির্ভর করে অথবা করবে, নিম্নেবর্ণিত কিছু চিন্তার বিশ্লেষণের মধ্যে। যেমন-

ক) আমাদের বহুদিনের দাসত্বের এবং দালালি চরিত্রের মানসিকতার পরিবর্তন হবে কি-না।

খ) উৎপাদন সম্পর্কের ভেতরের সামন্তবাদী চিন্তা এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক আধিপত্যবাদের পরিবর্তন দ্রুত সম্ভব কি?

গ) সমাজ অবকাঠামোর শ্রেণিবৈষম্য এবং রাজনৈতিক নীতিনির্ধারণে অগণতান্ত্রিক চর্চার পরিবর্তন হবে কিনা।

ঘ) সমাজ একটি সামগ্রিক সত্তা, এর কাঠামোটা এর সাংগঠনিক রূপ। সমাজ নৃবিজ্ঞানী নেডেল এবং সমাজবিজ্ঞানী গার্থ ও মিলস সমাজের সদস্যদের ভূমিকার দিক থেকে সমাজ কাঠামোকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে: We arrive at the Structure of a society through abstracting from the concrete population and it's behaviour  the pattern or network (or 'System') of relationships obtaining between actors in their capacity of playing roles relative to one another. (S. F. Nadel, The Theory of Social Structure, (London 1957) p. 12 । প্রশ্ন হচ্ছে আমাদের রাজনীতির সাংগঠনিক রূপটা বুঝতে পারা।

ঙ) সামাজিক মূল্যবোধের সংস্কার এবং সুপরিবর্তন না হলে রাজনীতির পরিবর্তন হবে না। সমাজধিপতিরাই রাজনীতি এবং অর্থনীতিকে নিয়ন্ত্রন করে। আরো অনেক কারণ আছে এই বিষয়ে উল্লেখ করবার। সংক্ষেপে করোনাত্তর রাজনীতির পরিবর্তনে যে বিষয়গুলি যুক্ত হতে পারে এর কিছু সংক্ষিপ্ত ভাবনার কথা বললাম।

২। করোনা পূর্ব রাজনীতিতে আমাদের সামাজিক এবং রাজনৈতিক চরিত্র যে রকম জোর যার মুল্লুক ছিল। সেটা এখনও অব্যাহত। একটি দৃষ্টান্ত, করোনাত্তর আর্থিক রাজনীতির প্রভাব বিস্তারে দেশের অন্যতম শিল্পমাধ্যম গার্মেন্টস শিল্পের রক্ষার্থে সরকারি প্রণোদনার বিষয়টি যতটা না এই শিল্পের মালিকদের সুরক্ষায় কাজ করেছে, ততটা এই  শ্রমশিল্পের সাথে যে হাজার হাজার ইনফরমাল শ্রম শক্তি এবং শ্রমিকরা জড়িত, তাদের আর্থিক এবং সামাজিক নিরাপত্তাকে সুনিশ্চিইয়তা দিতে পারেনি। এটাও নিজেদের রাজনৈতিক বৈষম্য এবং সামাজিক বৈষম্যের ক্ষতকে নির্দেশ করে।

পাশাপাশি লক্ষ্য করেছি প্রধানত রাজনৈতিক স্বার্থে এই দুর্যোগকালেও সরকারি বিভিন্ন দান অনুদানের ক্ষেত্রে চুরি, দুর্নীতি এবং এর অব্যবস্থাপনার দুর্বলতা ছিল। করোনার সহমর্মিতার শিক্ষা এখানে অনেককেই ভাবিত করেনি। রাজনীতিও কোনো ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারেনি। তাই চট করে আমাদের এই মনস্তাত্ত্বিক দুর্বলতাগুলো করোনার পরপরই মিটে যাবে আশা করা যায় কি! উল্লেখ না করলেই নয় যে, এখানেও সমাজে এবং রাষ্ট্রে বহমান গণতান্ত্রিক কৃষ্টির অপব্যবহার আছে।

৩। আমাদের স্বাস্থ্যখাতের ভঙ্গুরতা কতোটা হতাশাবাঞ্জ্যক সেটাও না বললেই নয়। বর্তমান করোনার দুর্যোগে বিশ্বব্যাপী জনসাস্থ্যর প্রতি বিভিন্ন সরকারের অবহেলা ও উদাসীনতাকে লক্ষ্য করেছি। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম না। প্রসঙ্গে অর্থনীতি বিষয়ে একটু বলি। অনেক বিশেষজ্ঞরা তাদের রচনাতে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন এই বলে যে, করোনাত্তর অর্থনীতি সমাজের অনেক দরিদ্র মানুষের এবং রাষ্ট্রের উন্নতিতে ইতিবাচক ফল দিতে পারে। এই বক্তব্যে প্রধানত উন্নত বিশ্বের অর্থনীতির চালচিত্রকে সামনে রেখে এই ধরনের আশাবাদ কেউ কেউ ব্যক্ত করেন। আমরা  দেখেছি পৃথিবীর বহু দেশে অনেক কোটিপতিরা এই সময়ে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছেন করোনকে কেন্দ্র করে। তাই বলা যায় করোনাত্তর অর্থনীতিতেও জনসেবা এবং জনকল্যাণমূলক রাজনীতির অগ্রাধিকার গুরুত্ব পাবে না।

আমাদের দীর্ঘদিনের শ্রেনী বিভেদ ও শ্রেনী বৈষম্যের রাজনীতিকে একটি করোনা ব্যাধি চট করে মুক্তির আলোর পথ দেখাবে। এটা ভাবি বা কীভাবে। করোনাত্তর রাজনীতি এবং অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা যে যেই আশবাদ ব্যাক্ত করি না কেন তা অনেকটাই ‘আইভরি টাওয়ার’ চিন্তা। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসের ত্যাগ এবং তার রক্তের দাগও শ্রেনী স্বার্থের রজনীতিকে পরিবর্তন করতে পারে নি। প্রভুর চেহারা বদলেছে, রাষ্ট্রের নামকরন নতুন হয়েছে, কিন্তু রাজনীতির গুনগত পরিবর্তন ঘটেনি। 

৪। বিশ্বব্যাপী আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম কমেছে । এটা সত্যি। কিন্তু এর সুফল বাংলাদেশের অর্থনীতি এবং রাজনীতিতে কতটা সুপ্রভাব ফেলবে বলা যায় না। দৃষ্টান্ত, সম্প্রতি বাংলাদেশের সাধারন নাগরিকদের অন্যতম বাহন বাসের ভাড়া নাকি ষাট শতাংশ বাড়াবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রাইভেট বাস মালিক সমিতি। এ ব্যাপারে তাদের যুক্তি যেহেতু এই সময় এই মহা ব্যাধিকালে আগের মতো বাসে যাত্রীদের নেয়া যাবে না, সেখানে মালিকদের আর্থিক ক্ষতি হবে। তাই এই ভাড়া বৃদ্ধির প্রস্তাব বা উদ্যোগ নেয়া। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত বা সরকারি সিদ্ধান্ত কার পক্ষে যাবে বলা যাচ্ছে না। যেটুকু বলা যায়, তা হলো এই দুর্যোগকালে আমাদের মানসিকতা কতটা অন্যের দুর্যোগকে বুঝতে পারল। সাধারণ নাগরিক যাত্রীদের এই বাস ভাড়ার বাড়তি অর্থ কোথা থেকে আসবে। ‘মালিক সমিতি’ কি বিষয়টাকে ভেবেছেন!

করোনাতে একটা চিন্তা বা মতামতের গুরুত্ব আলোচিত হচ্ছে এই নামে যে, জীবন আগে না জীবিকা। বাস্তবিক ক্ষেত্রে দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। একটির সাথে অন্যটির সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ। প্রশ্নের জায়গা এখানে, জীবিকা ও জীবন বলতে আমরা কোন কোন জীবিকা এবং জীবনকে প্রাধান্য দিচ্ছি এবং এর সমন্বয়ে ইতিবাচক কি ভূমিকা রাখতে পারছি।

দেখা গেছে, গার্মেন্টস শিল্পের মালিকদের থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত পরিবহন মালিক সমিতির জীবন ও জীবিকা বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে। পাশে গুরুত্ব পাচ্ছে রাজনৈতিক শ্রেণী স্বার্থের বিষয়। ক্ষমতার রাজনীতি বাঁচাবার লড়াই। আমরা তো শুনেছি, ১৭ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারছি, তখন আরো দশ লক্ষ মানুষ কেউও খাওয়াতে পারব। উল্লেখ্য রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সুরক্ষাতে আমরা এ ধরনের রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছি। মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে তাহলে এই করনা ভাইরাসে আক্রান্ত বা সনাক্ত বাংলাদেশের নাগরিকদের সংখ্যা হয়তো এখনও দশ লক্ষ হয়নি। সেই ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ যদি বলতেন, এই সময়ে আমরা আগামী ছয় মাস কিংবা এক বছর সকল করোনা আক্রান্ত নাগরিকদের আর্থিক নিরাপত্তার পূর্ণ নিশ্চয়তা দেব। বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের এবং পাশাপাশি সব রকম ইনফরমাল শ্রমিকদের আর্থিক নিরাপত্তা সরকার বহন করবেন। তাহলে হয়তো এই করোনা ভবিষ্যৎ রাজনীতিকে ভালো দিকে নিয়ে যাবে বলে আশা করা যেত।

৫। এই বিষয়গুলি এবং ভাবনা করোনাত্তর রাজনীতির সাথে সরাসরি সংযুক্ত। মোগল যুগ থেকেই আমাদের মধ্যে Hero-worship, দাসত্ব এবং দালালি করার মনোভাব সক্রিয়। করোনা আমাদের মনস্তাত্ত্বিকতায় এই রোগের প্রতিরোধক ভ্যাকসিন দিতে পারবে কি? এর উত্তর দেবার সময় সামনে আসবে। যুদ্ধটা এখনও চলছে, তাই এর ক্ষয় ক্ষতির পরিনাম কতটা হতে পারে বলা যায় না। তবে এই করোনাতে ব্যক্তিগত কিছু দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতেও পারে। সেটা রাজনীতির অশুভ প্রভাবকে মারজিনালাইজড করতে নাও পারে। এর রাজনৈতিক প্রভাব বা ফলাফল রাজনীতিতে কি প্রভাব ফেলবে এবং রাজনীতির মধ্যে বহুকালের অরাজনীতির পরিবর্তন ঘটাবে কিনা রাষ্ট্র বিজ্ঞানীরা সেটা আরও ভাল বলতে পারেন। সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্র হিসাবে এটা বলতে পারি রাজনীতির গুণগত পরিবর্তন নির্ভর করে সমাজ কাঠামো এবং এর উৎপাদন সুসম্পর্ক এবং সমবন্টন নিশ্চিত হলে। ন্যায়পরায়ণতা এবং আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। এসবের সামাজিক অবকাঠামো এবং স্তরবিন্যাসের সুপরিবর্তনে রাজনৈতিক পরিবর্তন নিরর্ভশীল। এটা দীর্ঘ এক যাত্রাপথ। এই পথে চলার নেতৃত্ব দুর্বল এবং কোন কোন ক্ষেত্রে ডুমুরের ফুল। বর্তমান আলোচনাতে সামাজিক পরিবর্তনের বিষয়টা লক্ষ্য না, কেবল রাজনীতির পরিবর্তন বিষয়টা নিয়েই কিছু ইঙ্গিত নিয়ে আলোচনা করতে চেষ্টা করলাম। এই আলোচনার প্রেক্ষিতে সোজাসাপ্টা কথায় বলা যায়, করোনাত্তর আমাদের রাজনীতির গুনগত পরিবর্তনের পক্ষে সহায়ক হবে বলে মনে হয় না। একটি গণতন্ত্রহীন সমাজ ব্যবস্থা এবং প্রশাসনে কোন দুর্যোগ সব সময় ইতিবাচক পরিবর্তনে ধাবিত করে কিনা, সেটাও নিশ্চিত না। পৃথিবীতে অনেক সংকট এবং দুর্যোগ দেখেছি, এখনো দেখছি যা বিদ্যমান রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে পরিবর্তন আনে নি। যে কোন পরিবর্তন দীর্ঘ সময় সাপেক্ষ। তবে আশা ব্যক্ত করা যায়, রাত গভীর হলে সূর্যোদয়ের সময় নিকট হয়।

৬। বাংলাদেশের আসন্ন বাজেটের আয়-ব্যয়ের খতিয়ান দেখে এবং অগ্রাধিকার দেখেও করোনাত্তর রাজনীতির পরিবর্তন হবে বলা যাবে না। আমাদের রাজনীতির ভৌত এবং এর কোমল অবকাঠামোর নির্মাতাও সমাজ ও রাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ। কিন্তু এই অবকাঠামোর জানালা দরজা ভাঙা গড়ার প্রধান কাজটা করেন সমাজে অগ্রাধিকার ভুক্ত শ্রেণী গোষ্ঠী। যারা প্রধানত পরিবর্তন বা সংস্কার পরিপন্থী। মাঝে মাঝে যদি সংস্কার করেন তখন তার জানালা দরজাগুলো এমন ভাবে রাখা হয়, যাতে সমাজের বিশেষ শ্রেণী গোষ্ঠী যারা ক্ষমতার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত তাদের গায়ে রোদ-বৃষ্টির আঁচড় না লাগে। এরাই তো রাষ্ট্র, অর্থনীতি এবং রাজনীতির চালিকাশক্তি।

৭। বিজ্ঞ স্বজনরা অনেকে দুঃখ করে বলেন, রাজনীতির ব্যাপারে তাদের উৎসাহ নাই। কিন্তু অর্থনীতি বা সংস্কৃতি জাতীয় বিষয়ে আগ্রহ আছে। তাহলে রাজনীতি কি এসবের বাইরে। না রাজনীতি কিন্তু অর্থনীতি, সংস্কৃতি, সাহিত্য এসবের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। তবু এরকম কথা এক ধরনের হতাশা থেকে আসে। রাজনীতির ময়লা ধারা সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন মেধা ও মননশীলতাকে তার স্বচ্ছ প্রবাহ থেকে দূরে রাখতে চেষ্টা করে, যেমন করে ময়লা পানির স্রোতধারা স্বচ্ছ পানিকে দূরে সরিয়ে দেয়। বিগত পাঁচ দশকে আমরা সেটাই দেখে আসছি। করোনার দুর্যোগ কাটলেই উল্লেখিত অসামঞ্জস্য গুলির পরিবর্তন হবে বা গতানুগতিক রাজনীতির পরিবর্তন হবে কিনা, এটা বলার জন্য আমাদের আরো কিছু সময় অপেক্ষায় থাকতে হবে।‌ 

লেখক: মাহমুদ রেজা চৌধুরী, সমাজ ও রাষ্ট্র নীতি বিশ্লেষক

ইমেইল: [email protected]

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন