করোনা মহামারীর এ কঠিন সময়ে অনলাইন প্লাটফর্ম ‘ব্লেনডেড লার্নিং সেন্টারের (বিএলসি)’ সর্বোচ্চ সুবিধা উপভোগ করছেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও ইউজিসির নির্দেশনা অনুসারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি এবং ড্যাফোডিল পরিবারের সব সহযোগী প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য জি-সাইট ব্যবহারের সুযোগ করে দিয়েছে। ফলে তারা আনলিমিটেড ক্লাউড স্টোরেজসহ বেশকিছু ডাইনামিক কমিউনিকেশন টুল ব্যবহার করতে পারছেন।
বিএলসি টুল ব্যবহার করে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অ্যাসাইনমেন্ট, কুইজ, ফোরাম ডিসকাশন, চ্যাট, ইন্টার্যাক্টিভ কনটেন্ট, জরিপ, পীর রিভিউ কর্মশালা, কোর্স উইকি, গ্লোসারি অ্যাডাপটিভ লেসনসহ নানা ধরনের কোর্স ম্যাটেরিয়াল দিতে পারছেন।
একটি বিশেষজ্ঞ দল এবং কয়েকজন প্রশিক্ষিত শিক্ষক বিএলসি প্লাটফর্ম তত্ত্বাবধান করছেন এবং সব শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে অনলাইন প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রতিনিয়ত দক্ষ করে তুলছেন। শুধু তা-ই নয়, এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সব অগ্রগতি ট্র্যাক করতে পারেন এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিতে পারেন এবং সব তথ্য প্লাটফর্মে সংরক্ষিত থাকে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সহজেই ঝুঁকিপূর্ণ শিক্ষার্থীদেরকে শনাক্ত করতে, তাদের অতিরিক্ত যত্ন ও কাউন্সেলিংয়ের ব্যবস্থা করতে পারে।
বিএলসি প্লাটফর্ম স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ক্লাউড ইনফ্রাস্টাকচারের মাধ্যমে ডিজাইন করা। ফলে শিক্ষার্থীরা দূরবর্তী যেকোনো জায়গায় বসে সরাসরি ক্লাস করাসহ জ্ঞানার্জনের সব মাধ্যমে যুক্ত থাকতে পারেন। দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগের কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা যাতে ব্যাহত না হয়, সেই লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাদের বিএলসি প্লাটফর্মের সঙ্গে সিনক্রোনাস ও অ্যাসিনক্রোনাস মুড ব্যবহার করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এসএম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, আট বছর আগে ২০১৩ সালে হরতাল, অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সব শিক্ষা কার্যক্রম বিএলসি প্লাটফর্মের মাধ্যমে শতভাগ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছিল। তখন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষায় পারদর্শিতার প্রমাণ রেখে চলেছেন এবং শিক্ষার্থীরাও প্রযুক্তির সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। আর এবার করোনাকালে সে অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম পুরোদমে চালিয়ে যাচ্ছে।
