গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোয় দুই দিনে সন্ত্রাসী হামলায় সেনাসদস্যসহ ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এর মধ্যে স্থানীয় সময় শুক্রবার দক্ষিণ কিভু প্রদেশের এক গ্রামে একটি সেনা চৌকিতে অস্ত্রধারীদের হামলায় মারা যায় আটজন।
নিহতদের মধ্যে ছয়জন সেনাসদস্য রয়েছেন।
এছাড়া মারা গেছেন স্থানীয় দুই নারী।
অন্যদিকে শনিবার ইতুরি প্রদেশের জুগুতে আরেক হামলায় মারা গেছে ১১ জন।
দেশটির কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
খবর এএফপি।
সেনাবাহিনীর আঞ্চলিক মুখপাত্র ক্যাপ্টেন দিউদোনে কাসেরেকা জানান, শুক্রবার দক্ষিণ কিভুর ওই হামলায় এক জুনিয়র অফিসার ও পাঁচ সেনাসদস্য নিহত হন।
তবে সেনাবাহিনী হামলাকারীদের প্রতিরোধ করে।
একই সঙ্গে অঞ্চলটির জনসাধারণের প্রতিরক্ষায় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এ হামলার জন্য সেনাবাহিনী তিনটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দোষারোপ করেছে।
গোষ্ঠীগুলো বানিয়ামুলেঙ্গে গোত্রের, যারা রুয়ান্ডা থেকে আগত অভিবাসীদের উত্তরসূরি।
তারা মূলত ফিজি, মুয়েঙ্গা ও উভিরা অঞ্চলে সক্রিয়।
এদিকে শনিবার জুগুতে এক গাড়িবহরে অতর্কিত হামলায় ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
নিহতদের মধ্যে একজন সাবেক ডেপুটি টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর, তিনজন পুলিশ সদস্য ও চার সেনাসদস্য ছিলেন।
এ হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে স্থানীয় মিলিশিয়া গোষ্ঠী দ্য কো-অপারেটিভ ফর দ্য ডেভেলপমেন্ট অব কঙ্গোকে (কোডেকো)।
গত অক্টোবর থেকেই কঙ্গোর সংঘাতময় পূর্বাঞ্চলের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যাপক সেনা অভিযান শুরু হয়।
এরপর থেকে দেশটির উত্তরাঞ্চল, দক্ষিণ কিভু ও ইতুরি প্রদেশে এ ধরনের সহিংসতায় কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছে।