এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান বা চিরুনি অভিযান শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। অভিযানের তৃতীয় দিনে গতকাল ৩৮৮টি বাড়ি পরিদর্শন করে ৪০টিতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপার উপস্থিতিসহ সম্ভাব্য প্রজনন উৎস পাওয়া গেছে।
এ কারণে বাড়িগুলোর মালিকদের ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি কর্তৃক মৌসুমপূর্ব এডিস সার্ভে ২০২০ পরবর্তী মনিটরিং কার্যক্রম (দ্বিতীয় পর্যায়) ৪ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে, যা ১৪ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সঙ্গে যৌথভাবে পরিচালিত হবে।
জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ১৬টি টিম এ মনিটরিং কার্যক্রমে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করছে।
গতকাল তৃতীয় দিনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১, ৫, ৬, ৮, ৯, ১১, ১৪, ১৮, ২০, ২২, ২৫, ২৭, ২৯, ৩৩, ৩৪, ৩৫ ও ৩৮ নং ওয়ার্ডে এডিস মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিদর্শনকৃত মোট ৩৮৮টি বাড়ির মধ্যে ৪০টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা ও পিউপার উপস্থিতিসহ সম্ভাব্য প্রজনন উৎস পাওয়া যায়।
এ সময় টিমের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এডিস মশার লার্ভা ও পিউপার উপস্থিতির ভিত্তিতে বাড়িগুলোকে ২ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং একটি নির্মাণাধীন ভবন সিলগালা করে বন্ধ করে দেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, সাম্প্রতিক বৃষ্টিপাতের কারণে বিভিন্ন বাড়িতে ছাদ বাগানের ফুলের টবে পানি জমে থাকতে দেখা যায়, এছাড়া বাড়ির আশপাশে পরিত্যক্ত পলিথিন ও প্লাস্টিক বর্জ্য পরিলক্ষিত হয়।
একটি বাড়িতে সৌন্দর্যবর্ধনে ব্যবহূত পানির ফোয়ারায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
এসব মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলে কীটনাশক স্প্রে করা হয় এবং নির্মূলযোগ্য উৎস বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীদের সহযোগিতায় নির্মূল করা হয়।
নির্মাণাধীন ভবনের সামনে প্লাস্টিকের ড্রাম ও ভবন নির্মাণকাজে ব্যবহূত যন্ত্রপাতিতে পানি জমে থাকতে দেখা যায়।
কিছু ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ড কারপার্কিংয়ে জমাটবদ্ধ পানির উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়, যা মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থল।
এছাড়া একটি পরিত্যক্ত গাড়ির গ্যারেজে বিভিন্ন যন্ত্রাংশে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণপূর্বক প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়।