চুয়াডাঙ্গায় বজ্রপাত থেকে রক্ষা পেতে রোপণ করা হচ্ছে তালগাছ।
একই সঙ্গে ফাঁকা মাঠে ও রাস্তার পাশে নির্মাণ করা হচ্ছে বজ্রশেল্টার।
যেখানে ঝড়বৃষ্টির সময় মানুষ আশ্রয় নিতে পারে।
এরই মধ্যে দামুড়হুদা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে এবং রাস্তার পাশে প্রায় ১ হাজার ১০০টি তালগাছের চারা রোপণ করা হয়েছে।
নির্মাণ করা হয়েছে পাঁচটি বজ্রশেল্টার।
জানা গেছে, দেশে সাম্প্রতিক সময়ে বজ্রপাতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় বিশেষ করে মাঠে কর্মরত কৃষকদের রক্ষায় বজ্রশেল্টার নির্মাণ করা হচ্ছে।
বজ্রপাতে প্রাণহানি ঠেকাতে স্ব-উদ্যোগে এ কাজ করছেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান।
কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, সাধারণত উঁচু গাছ বজ্রপাতরোধে সহায়ক ভূমিকা রাখে।
তালগাছ, নারকেলগাছ, সুপারিগাছে বেশি বজ্রপাত ঘটে থাকে।
বজ্রপাতে বেশির ভাগ মাঠে কর্মরত কৃষক মারা যান।
কৃষকদের প্রাণ রক্ষায় চলতি মৌসুমে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চত্বর, পুড়াপাড়া, জয়রামপুর ও হৈবতপুর গ্রামের মাঠের রাস্তার পাশে ১ হাজার ১০০টি তালগাছের চারা লাগানো হয়েছে।
আগামী মৌসুমের জন্য তালের আঁটি সংগ্রহ করে চারা তৈরির কাজও চলছে।
শুধু তা-ই নয়, বজ্রপাতের সময় আশ্রয় নেয়ার জন্য দামুড়হুদা উপজেলার গোবিন্দহুদা, নতিপোতা, কুড়ুলগাছী, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ও হাউলী ইউনিয়নের ফাঁকা মাঠে ও রাস্তার পাশে বজ্রশেল্টার নির্মাণ করা হয়েছে।
সেখানে বজ্রপাতের সময় করণীয় কী তার দিকনির্দেশনা দিয়ে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
তিনি আরো জানান, তালগাছের শিকড় ভেষজ ঔষুধ হিসেবে ভালো কাজে আসে।
এ গাছ থেকে অর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যায়।
একই সঙ্গে তালের শাঁস, পাকা তালের বড়া, তালমিছরি পাওয়া যায়।
তাল ভিটামিন সমৃদ্ধ।
এ গাছ প্রাকৃতিক বৈচিত্র্য বাবুই পাখির আবাসস্থল।
গাছের পাতায় হাতপাখা তৈরি করা হয়।