ব্র্যাক পরিবারের অন্যতম প্রতিষ্ঠান ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড গত শনিবার তার ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পূর্ণ করেছে। কভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে ব্যাংকটি এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সব ধরনের আয়োজন থেকে বিরত ছিল। প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজির হাত ধরে ২০০১ সালের ৪ জুলাই কার্যক্রম শুরু করে ব্যাংকটি। তবে স্যার ফজলে হাসান আবেদ না থাকলেও তার লালিত স্বপ্ন এসএমই খাতের উন্নয়নকে ব্র্যাক ব্যাংক সব সময়ই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখবে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, আজ আমি স্যার ফজলে হাসান আবেদকে স্মরণ করছি। আমি আজও ব্র্যাক ব্যাংককে ঘিরে তার লালিত স্বপ্ন ও অনুভূতি দ্বারা অনুপ্রাণিত, যা তিনি বিভিন্ন সময় আমার কাছে ব্যক্ত করেছেন এবং যখন এ মর্যাদাপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটির নেতৃত্ব দেয়ার জন্য তিনি আমাকে দায়িত্ব অর্পণ করেন—তখন ব্যক্ত করেছেন। এ সময় তিনি আর্থিক ব্যবস্থায় অবহেলিত জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে ব্র্যাক ব্যাংককে নিরলসভাবে সমর্থন দেয়ার জন্য পুরো ব্র্যাক পরিবারকে অভিনন্দন জানান।
ড. মনসুর আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের ব্যাংক এরই মধ্যে দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় ব্যাংক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং দেশসেরা ও আন্তর্জাতিক মানের একটি ব্যাংক হওয়ার লক্ষ্যে অনেকখানিই এগিয়ে গেছে।
স্যার ফজলে হাসান আবেদ কেসিএমজি সমাজের ‘মিসিং মিডল’-ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের বৃদ্ধি ও সমৃদ্ধির জন্য প্রাতিষ্ঠানিক অর্থায়নের প্রয়োজন নিশ্চিতের লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ২০০১ থেকে ২০০৮ এবং ২০১৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত দুই দফায় ব্যাংকটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করেন। গত বছরের ২১ আগস্ট তিনি ড. মনসুরের হাতে বোর্ডের দায়িত্ব অর্পণ করে এ পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাংকের সব স্টেকহোল্ডারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি বজায় রাখার জন্য উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আমি মনে করি, এক্ষেত্রে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেকে বাংলাদেশের অন্যতম সফল আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রমাণ করেছে। বাংলাদেশের সর্বাধুনিক, গ্রাহকবান্ধব এবং প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত ব্যাংক হিসেবে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা জনগণের প্রতি আমাদের সমর্থন নিশ্চিত করে দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার স্যার ফজলের স্বপ্নকে আমরা আজীবন লালন করব।
