খাতুনগঞ্জে কমতির দিকে সব ধরনের ডালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক চট্টগ্রাম ব্যুরো

রোজার ঈদের পর থেকে ভোগ্যপণ্যের বাজারে সব ধরনের ডালের দাম কমতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ী আমদানিকারকরা বলছেন, আমদানি সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দেশের বাজারে ডালের বেচাকেনা আগের তুলনায় অনেকটাই কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে বাজারে। চাহিদার নিম্নমুখিতায় সব ধরনের ডালের দাম কমতির দিকে রয়েছে।

দেশে ভোগ্যপণ্যের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের আড়তগুলো ঘুরে গতকাল কানাডা অস্ট্রেলিয়া থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি মসুর ডাল ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগেও আমদানি করা এসব মসুর ডাল কেজিপ্রতি ৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। গতকাল দেশে উৎপাদিত মসুর ডাল বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ১০০-১১০ টাকায়। সপ্তাহ খানেক আগে পণ্যটি কেজিপ্রতি ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে মুগ ডালের দাম কমেছে কেজিতে ২০ টাকা। গতকাল প্রতি কেজি মুগ ডাল মানভেদে ৭৫-১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। সপ্তাহ খানেক আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ৯৫-১১০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। কেজিপ্রতি -১০ টাকা কমে গতকাল খেসারি ডালের দাম ৪৮-৫০ টাকায় নেমে এসেছে। সপ্তাহ খানেক আগেও পণ্যটি কেজিপ্রতি ৫৫-৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে গতকাল প্রতি কেজি মটর ডাল ২৮-২৯ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়। এক সপ্তাহ আগে পণ্যটি কেজিপ্রতি ৩৩-৩৪ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অর্থাৎ, সপ্তাহান্তে প্রতি কেজি মটর ডালের দাম কমেছে টাকা। অন্যদিকে পাইকারি বাজারে প্রতি মণ (৩৭ দশমিক ৩২ কেজি) ছোলা বিক্রি হয় হাজার ১০০ টাকায়। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কমেছে মণে ১০০ টাকা। কেজিপ্রতি - টাকা কমে সাদা মটরের দাম ২৭-২৮ টাকায় নেমে এসেছে।

স্থানীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স তৈয়বিয়্যা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সোলায়মান বাদশা বণিক বার্তাকে বলেন, রোজার পর থেকে এক মাসের বেশি সময় ধরে সব ধরনের ডালের দাম কমতির দিকে রয়েছে। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে ডালের দাম আরো এক দফা কমেছে। আমদানি হয়েছে পর্যাপ্ত। বাজারে সব ধরনের ডালের সরবরাহ ভালো রয়েছে। তবে বেচাকেনা একেবারে নেই বললেই চলে। পরিস্থিতি পাইকারি বাজারে সব ধরনের ডালের দাম কমিয়ে দিয়েছে।

খাতুনগঞ্জ ডাল মিল ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সঞ্জয় দেব খোকন বণিক বার্তাকে বলেন, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর ত্রাণ কার্যক্রম গতিশীল ছিল। ওই সময় ত্রাণে ডাল দেয়ায় পণ্যটির চাহিদাও ছিল বেশি। এরপর রোজার সময় ডালের চাহিদা আরো বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে বাড়তি চাহিদার জের ধরে এপ্রিল-মে মাসে দেশের বাজারে সব ধরনের ডালের দাম চাঙ্গা ছিল। ওই সময় আমদানিকারকরা বাড়তি লাভের আশায় ডাল আমদানি বাড়িয়ে দেন। তবে রোজার ঈদের পর থেকে ত্রাণ কার্যক্রম সীমিত হয়ে আসে। কমতে শুরু করে ডালের চাহিদা। চাহিদা ক্রমেই কমতে শুরু করায় তারা আর লাভের মুখ দেখতে পারেননি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন