বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, ট্রায়াল থেকে জানা যাচ্ছে যে হাসপাতালে কভিড-১৯ আক্রান্তদের মৃত্যু হ্রাসে ম্যালেরিয়া বা এইচআইভির ওষুধের কোনো কার্যকারিতা নেই। অর্থাৎ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন ও লোপিনাভির/রিটোনাভির ওষুধগুলো কভিড রোগীদের কোনো কাজে আসে না।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শনিবার বলেছে, হাসপাতালে কভিড-১৯ আক্রান্তদের মৃত্যু হ্রাস করতে ব্যর্থ হওয়ায় তারা ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং এইচআইভির জন্য ব্যবহূত লোপিনাভির/রিটোনাভির ট্রায়াল বন্ধ করছে।
ডব্লিউএইচও আরো জানিয়েছে, প্রথমবারের মতো একদিনে বিশ্বে ২ লাখের বেশি করোনা আক্রান্তের কেস পাওয়া যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচও তাদের বিবৃতিতে বলেছে, ‘এই সাময়িক ট্রায়ালের ফলাফল বলছে যে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন এবং লোপিনাভির/রিটোনাভির স্বাভাবিক চিকিৎসার তুলনায় হাসপাতালে ভর্তি কভিড-১৯ আক্রান্তদের মৃত্যুহার কমাতে তেমন কোনো ভূমিকা রাখতে পারে না।’
ডব্লিউএইচও আরো জানিয়েছে, এ বিষয়ে তারা বিভিন্ন দেশে বিস্তৃত ট্রায়াল চালিয়েছে।
জাতিসংঘের এ সংস্থাটি আরো জানিয়েছে, এ ওষুধগুলো আরো যেসব ট্রায়ালে ব্যবহার করা হয় সেসব ক্ষেত্রে তাদের এ সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব থাকবে না।
ডব্লিউএইচও তাদের আরেকটি ট্রায়ালে কভিড-১৯ চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির কার্যকারিতা নিয়ে পরীক্ষা করছে। গত শুক্রবার ইউরোপীয় কমিশন কভিড চিকিৎসায় হাসপাতালে কিছু ক্ষেত্রে রেমডেসিভির ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে, কারণ এই ওষুধ ব্যবহারে অনেকে কভিড রোগী হাসপাতালে দ্রুত সুস্থ হয়েছেন।
দ্য গার্ডিয়ান