সিঙ্গাপুরের কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ডিভাইস নিয়ে বিতর্ক

বণিক বার্তা ডেস্ক

কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় সিঙ্গাপুরের সর্বশেষ প্রচেষ্টা হলো কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং ডিভাইস ট্রেস টুগেদার টোকেন-এর ব্যবহার। পরিধেয় ডিভাইসটি ভাইরাসটিতে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে যাওয়া ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সহায়তা করবে। সব ব্যবহারকারীকে এটা বহন করতে হবে এবং কোনো চার্জ ছাড়াই ডিভাইসের ব্যাটারিটি নয় মাস পর্যন্ত চলতে পারবে।

তবে নতুন ডিভাইসটি মানুষের গোপনীয়তার অধিকারবিষয়ক বিতর্ককে উসকে দিয়েছে। ডিভাইসগুলোর প্রস্তুতকারক সরকারি সংস্থা দাবি করেছে, ডিভাইসটির প্রযুক্তি খুব সাধারণ। এটা কেবল মানব যোগাযোগ সন্ধানকারীদের সহায়তা করবে।

ডিভাইসটির প্রথম ব্যবহারকারী হচ্ছেন দেশটির হাজার হাজার প্রবীণ নাগরিক, যারা স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না। এটা ব্যবহার করতে তাদের জাতীয় আইডি এবং ফোন নাম্বার সরবরাহ করতে হয়েছিল। ছোট ডিভাইসের ব্যবহারকারীদের মধ্যে কেউ যদি করোনাভাইরাস পজিটিভ হয়, তবে তাদের ডিভাইসটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে হস্তান্তর করতে হবে। কারণ এটাতে সরাসরি ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডাটা প্রবেশ করানো যায় না। যোগাযোগ সন্ধানকারীরা তখন ডিভাইসটির ডাটা সংগ্রহ করে সংক্রমিত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা মানুষদের শনাক্ত সতর্ক করবেন।

ডিভাইসটি চালুর আগে সেটা পরিদর্শনে একটি বিশেষজ্ঞ দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। দলটিকে ডিভাইসটির সব উপাদান দেখানো হলেও সেটা চালু করার অনুমতি দেয়া হয়নি। দলটিতে থাকা হার্ডওয়্যার ডেভেলপার শান ক্রস বলেন, আপনি কার সঙ্গে ছিলেন, কে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত এবং কে আপনাকে সংক্রমিত করেছে তথ্যগুলো ডিভাইসটি সংগ্রহ করতে পারে।

গত মাসে এমন ডিভাইস চালুর ঘোষণার সময় দেশটিতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এটা চালুর বিরুদ্ধে একটি অনলাইন পিটিশনে ৫৪ হাজার মানুষ স্বাক্ষর করে। তারা এর মাধ্যমে সিঙ্গাপুরকে নজরদারি পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করার অভিযোগ তোলে। তবে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা মানুষদের অবস্থানের তথ্য সংগ্রহ করে না বা এটা মোবাইল নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাই এটা দিয়ে কোনো ব্যক্তির গতিবিধি নজরদারি করা যায় না।

বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন