ডিপিডিসির ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিল

৪ কর্মকর্তা বরখাস্ত ৩৬ জনকে শোকজ নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনা মহামারীর সময় গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিলে খামখেয়ালিপনার প্রমাণ মিলেছে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) তদন্তে। এর পরিপ্রেক্ষিতে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে বিতরণ কোম্পানিটি।

ডিপিডিসি সূত্র জানিয়েছে, ভুতুড়ে বিল প্রদানের সঙ্গে জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ মেলায় গত বৃহস্পতিবার চারজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। ৩৬টি জোনাল অফিসের নির্বাহীদের কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিস দেয়া হয়েছে। এছাড়া ১৬ জন মিটার রিডার এবং একজন মিটার রিডার সুপারভাইজারকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।

করোনা মহামারীর সময় অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিলের অভিযোগ করেছেন ডিপিডিসির অনেক গ্রাহক। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ডিপিডিসির পরিচালক শহীদুল ইসলামের (আইসিটি) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতেই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করেছে ডিপিডিসি কর্তৃপক্ষ। যে চারজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে একজন নির্বাহী প্রকৌশলী, একজন সুপারিনটেনডেন্ট ইঞ্জিনিয়ার, একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার একজন কম্পিউটার ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। অধিকতর তদন্ত শেষে যদি তারা দোষী প্রমাণিত হয়, তাহলে চূড়ান্তভাবে বহিষ্কার করা হবে তাদের।

এছাড়া ভুতুড়ে বিলের বিষয়ে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হয়েছে ৩৬টি জোনাল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলীদের। গত শুক্রবার নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাছে -সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। নোটিসে লেখা হয়েছে, গ্রাহকদের মার্চ এপ্রিলে অস্বাভাবিক রিডিংসহ অযৌক্তিক বিদ্যুৎ বিলের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। মে মাসের বিদ্যুৎ বিলে যাতে ধরনের সমস্যা না হয়, সে বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পরিচালক নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এর পরও মে মাসের বিলে বেশকিছু গ্রাহকের অস্বাভাবিক বিল তৈরি হয়। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সঠিক বিল তৈরির বিষয়ে যথাযথ কোনো পদক্ষেপ না নেয়ার ফলে গ্রাহকরা চরম ভোগান্তির শিকার হয়েছেন। এতে ডিপিডিসির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়াসহ সুনাম নষ্ট হয়েছে। অনিয়মের দায়-দায়িত্ব নির্বাহী প্রকৌশলীদের ওপর বর্তায়। তাদের আচরণ সংস্থার চাকরি বিধি-২০১৭-এর . ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন, যা শৃঙ্খলা পরিপন্থী, কর্তব্যকালে অবহেলা অসদাচরণের পরিচায়ক। তাই চাকরি বিধি অনুযায়ী কেন তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার কারণ দর্শাতে বলা হয় নোটিস জারির ১০ দিনের মধ্যে।

বিষয়ে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান বলেন, তারা এরই মধ্যে চার হাজার গ্রাহকের অভিযোগ সমাধান করেছেন। যেসব কর্মকর্তার অবহেলায় গ্রাহকদের ভোগান্তি হয়েছে, তাদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন