ভারী বর্ষণ ও বন্যায় জাপানে ১৫ জনের প্রাণহানি

বণিক বার্তা ডেস্ক

নভেল করোনাভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ের মধ্যে এবার জাপানে আরেক বিপদ। দক্ষিণাঞ্চলীয় দ্বীপ কিউসুতে ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভূমিধস ও প্রবল বন্যায় ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের বেশিরভাগকেই পাওয়া গেছে বৃদ্ধাশ্রমে।

কুমামোতো অঞ্চলের কুমা নদীর বাধ ভেঙে প্রবল বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। প্রশাসন সেখানরা প্রায় ২ লাখ মানুষকে বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বলেছে। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে উপদ্রুত এলাকায় উদ্ধার অভিযান চালাতে ১০ হাজার সৈন্য প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। 

আবে জানান, রোববার পর্যন্ত ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস রয়েছে। তিনি সেখানকার অধিবাসীদের ‘সর্বোচ্চ সতর্ক’ থাকার পরামর্শ দেন। 

বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কুমামোতো ও কাগোশিমা অঞ্চল। কুমামোতোর গভর্নর ইকুও কাবাশিমা সংবাদমাধ্যমকে জানান, বৃদ্ধাশ্রমের দুর্ভাগা মানুষগুলোকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণার আগে তাদের ‘কার্ডিও-রেস্পিরেটরি অ্যারেস্ট’ হয়েছিল।

সুনাগি শহরেও ৯ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন, ধারণা করা হচ্ছে তারা মারা গেছেন। যদিও আনুষ্ঠানিভাবে এই তাদের মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি। আবে বলেন, ‘নিহত মানুষদের ব্যাপারে যে তথ্য পাওয়া গেছে, তারা বেশিরভাগই ভূমিধসের কবলে পড়েছেন।’

ভিডিও ফুটেজ থেকে দেখা যায়, কুমা নদীর ওপর একটি সেতু স্রোতের তোড়ে বেসে যাচ্ছে। এছাড়া জলে নিমজ্জিত গাড়ি ও বাড়ির ছবিও দেখা যাচ্ছিল।

কুমামোতোর আশিকিতায় বসবাস করা হারুকা ইমাদা বলেন, ‘আমি দেখছিলাম, বড় বড় গাছ ও বাড়িঘরের অংশবিশেষ পানিতে ভেসে যাচ্ছিল, তাতে কিছু ভেঙে চূরমার হওয়ার শব্দও শোনা যাচ্ছিল। গ্যাস ও নর্দমার লাইন ফেটে যাওয়ায় আকাশ থেকে আসছিল গন্ধ।’ 

জাপানের আবহাওয়া সংস্থা জানায়, স্থানীয় সময় ভোর ৫টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। তাদের ভাষ্য, এই অঞ্চলে এমন ভারী বৃষ্টিপাত অতীতে কখনই দেখা যায়নি।  

সূত্র: বিবিসি ও কিউদো নিউজ 

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন