দিনটি যেমন

আজ ৪ তারিখ। আজ জন্মগ্রহণ করায় আপনার সঠিক জনসংখ্যা ৪। আর ৪ সংখ্যার জাতক বা জাতিকা হিসেবে আপনি ব্যবস্থাপনা এবং সাংগঠনিক গুণসমৃদ্ধ, সক্রিয় এবং নির্ভরযোগ্য কর্মী। রাশভারী এবং অকৃত্রিম প্রকৃতির মানুষ আপনি। বড় বড় মিশন সফল করে তোলার ব্যাপারে আপনি খুবই করিৎকর্মা। ব্যবসা-বাণিজ্যের জগতে আপনি প্রায়ই একজন সফল মানুষ। আপনার চিন্তা-ভাবনা খুবই বাস্তবসম্মত অথচ সৃজনশীলতা বিবর্জিত নয়। ভ্রমণে আপনার অপার আগ্রহ এবং একা থাকতে আপনি মোটেও পছন্দ করেন না। আর আপনার জন্য-

শুভ বর্ণ : সোনালী, সাদা, কমলা, লাল রং এবং বিদ্যুৎ শেডের রং, চড়ই পাখির রং, মেরুণ, লাল, গোলাপী বর্ণ এবং একাধিক  বর্ণের স্ট্রাইপের পোষাক। 
শুভ বার : রবিবার। 
শুভ রত্ন: গোমেদ এবং প্রবাল।  
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:  ১, ৪, ৭, ৮, ১০, ১৩, ১৬, ১৭, ১৯, ২২, ২৫, ২৬, ২৮ এবং ৩১।
গুরুত্বপূর্ণ সংখ্যা : ১, ৪, ৬, ৭ এবং ৮।

উপযোগী পেশা: প্রশাসন, ডিজাইনিং, উদ্যান, ব্যবসায়িক উদ্যোগ, মৃত্তিকাবিজ্ঞান, রিয়েল-এস্টেট, কম্পিউটার, রাজকর্ম, কৃষিখামার, রসায়ন-গবেষণা পরিবহন, বিদ্যুৎ, যন্ত্রপাতি, প্রকৌশল, বিজ্ঞান, কল-কারখানা, জ্যোতিষশাস্ত্র, বাণিজ্য, সাহিত্য এবং শিল্পকলা সংশ্লিষ্ট কাজ-কর্মে আপনি তুলনামূলকভাবে অনেক সহজে এবং অধিক সাফল্য লাভ করতে পারবেন। 
বিশেষ পরামর্শ: ঘরে এবং বাইরে সর্বত্র অন্যদের সাথে আপনার ভুল বোঝাবুঝি ঘটার একটা আশঙ্কা থাকে। এ বিষয়ে আপনি সবসময়ই খুব সতর্ক থাকুন।   

এবার অন্যান্য জন্মসংখ্যার ব্যক্তিদের সাথে আপনিও জেনে নিন আজকের দিনটি আপনার কেমন যেতে পারে?     
(১) এখন বাজারে প্রচুর আম পাওয়া যায়। পাকা আম খেলে শারীরিক শক্তি-সামর্থ যথেষ্ঠ বৃদ্ধি পায়। ভেজাল খাদ্যের আর দূষিত আবহাওয়ার এই দেশে শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। আম খান নিয়মিত যতদিন (পাওয়া যায়)। তবে, পাকা অথচ টক এমন আম খাবেন না। 
(২) নাক-কান-গলার সমস্যায় থাকেন আপনি মাঝে মাঝে। নিয়মিত অন্তত একটা লবঙ্গ খেলে এ সমস্যা প্রায়ই দূর হয়ে যায়। তবে, মনে রাখবেন, লবঙ্গ বেশি পরিমানে খাওয়া হৃৎপিন্ডের জন্য বিশেষ ক্ষতিকর; এছাড়া (জাতিকারা জেনে রাখুন) মেয়েলি কিছু সমস্যাও তৈরি হয় বেশি লবঙ্গ খেলে। তাই,  জাতক-জাতিকা উভয়েই সাবধান!
(৩) চমৎকার মজাদার এটি খাদ্যবস্তু হলো পোস্তদানা। পোস্তদানা স্নায়ুতন্ত্রকে সতেজ করে। স্নায়ুবিক সাধারণ সমস্যাগুলো দূর করার জন্য পোস্তদানা নিয়মিত খাওয়া অভ্যাস করতে পারলে খুবই ভালো হয়। তবে, খাঁটি পোস্তদানা খুঁজে পাওয়া রীতিমত ভাগ্যের ব্যাপাার। সুপার-শপগুলোতে মাঝে মাঝে পাওয়া, তবে, সব খানেই যে খাঁটিটা পাওয়া যায়, তা নয়। 
(৪) হৃদয়-ঘটিত টানাপড়েনে থাকতে হয় কম-বেশি সবাইকেই এবং আপনাকেও। পদ্মনীলা নামের পাথরটি হৃদয়ের টানাপড়েন দূর করতে বিশেষ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে, সেটা সোনার আংটিতে বাঁধিয়ে পরতে পারলে, আরো বেশি দ্রুত এবং কার্যকরী ফল লাভ করা যায়। কিন্তু, দেখেশুনে খাঁটি পাথর কিনতে না পারলে, টাকা নষ্ট, আরো কষ্ট।
(৫) প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে নিরাপদে থাকতে ফিরোজা খুবই নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকরী একটি রত্ন। যারা ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য খুবই উপযোগী একটি রতœ এটি। এছাড়া শারীরিক বা মানসিকভাবে ভাবে সুস্থ এবং আর্থিকভাবে বলিষ্ঠ থাকার ব্যাপারেও যথেষ্ঠ কার্যকরী ভূমিকা রাখে এ রত্নটি। 
(৬) অনেক জাতক-জাতিকাই দুর্বল লিভারের অধিকারী হ’য়ে থাকেন। কলিজা-বর্ণের একটা আকিক আছে। লিভারকে সতেজ এবং নীরোগ রাখতে এই পাথরটি, বলা যায়, অতুলনীয়। এছাড়া, থানকুনির শাক লিভারকে সতেজ  রাখতে, বলা যেতে পারে, অসাধারণ এবং অনন্য একটি পথ্য। হিংসা-বিদ্বেষ ভুলে থাকতে চেষ্টা করুন আজ।        
(৭) রক্তে শর্করা বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে মেথি বা মেথিগুড়া  খুব ভালো একটি পথ্য। এছাড়া গায়নুরা বলে একটি গাছের পাতার রস রক্তের শর্করা, কোলস্টরেল, এমনকি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার ব্যাপারে খুবই কার্যকরী ভূমিকা  রাখতে সক্ষম। যে-কোনো নার্সারিতেই গাছটি পাবেন। দুটি পথ্যের যে-কোনো একটি ব্যবহার করুন, সুস্থ থাকুন। 
(৮) ব্লাড-প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখতে লেবু বা টক ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরী। তবে, জাতকেরা তেতুল খাওয়া হতে বিরত থাকুন। অবশ্য প্রেশার যদি বেশি রকম উঠে থাকে তেতুল খেলে খুব তড়িৎ কাজ হবে। গরমে কড়া রোদের মধ্যে বাইরে বেশি ঘুরাফেরা করা হ’তে যতটা  সম্ভব বিরত থাকুন। 
(৯) পোস্তদানা মূলত মোঘলাই খাবার রান্নার সময় লাগে। পোস্তদানা বেশি করে পেঁয়াজ দিয়ে ভাজি করে কিম্বা কোনো শাক-সব্জির সাথে রান্না করে খাওয়া যায়। পোস্তদানা খেলে শরীর এবং মস্তিষ্ক সতেজ হয়। ট্রাই করে দেখতে পারেন। এছাড়া পোস্তদানার হালুয়া শরীর-মন উভয়ের জন্যই বিশেষ উপকারী।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন