চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় লকডাউন

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, চবি

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস এলাকা ১৪ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরের এক কর্মকর্তাসহ মোট ১৩ জন কভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার সিন্ডিকেট সদস্যদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে আলোচনা করে শুক্রবার রাতে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আজ শনিবার সকাল থেকে এই লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূইয়া বণিক বার্তাকে জানিয়েছেন, ‘বর্তমানে ক্যাম্পাসে ১২ জন কভিড-১৯ রোগী রয়েছেন। প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের আবাসস্থল শোভা কলোনীতে বেশ কয়েকজন কভিড-১৯ রোগী পাওয়ার পর এলাকাটি লকডাউন করা হয়েছিল। পরে আমরা দেখলাম, এছাড়াও ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে শনাক্ত হয়েছেন। এর বাইরে চট্টগ্রাম শহরে বসবাসরত উপাচার্য দপ্তরের এক ডেপুটি রেজিস্ট্রারও আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া পুলিশ ফাঁড়ির পাঁচজন আরো আগে শনাক্ত হয়ে সুস্থ্যও হয়েছেন। সবকিছু বিবেচনা করে দেখা যায়, ভাইরাসের সংক্রমণরোধে পুরো ক্যাম্পাসে লকডাউন দেয়া প্রয়োজন। তাই ১৭ জুলাই পর্যন্ত ১৪ দিনের জন্য লকডাউন কার্যকর থাকবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘লকডাউন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেউ প্রবেশ ও বের হতে পারবেন না। জরুরি প্রয়োজনে প্রক্টর অফিসের অনুমতি নিতে হবে। সকাল থেকে পুরো ক্যাম্পাসে মাইকিং করা হয়েছে। মুদি দোকান সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে ফার্মেসিগুলো এসব নির্দেশনার আওতামুক্ত থাকবে। জরুরি চিকিৎসা সেবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্র ও অ্যাম্বুলেন্সগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসান বলেন, ‘ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন, অনুষদ, বিভাগ-ইনস্টিউটের অফিসগুলো বন্ধ থাকবে এই ১৪ দিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের কাজসহ জরুরি প্রশাসনিক কাজগুলো শহরের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে পরিচালিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট অধিবেশন আয়োজনের কাজও চলছিল। পরিস্থিতি বুঝে সিনেট অধিবেশনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন