কভিড-১৯-এর প্রভাবে রফতানি ধস

ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমিত করেছে জেমিনি সি ফুড

নিজস্ব প্রতিবেদক

হিমায়িত চিংড়ি রফতানি আগে থেকেই নিম্নমুখী। পরিস্থিতির মধ্যে কভিড-১৯-এর কারণে চলতি বছরের মার্চ থেকে রফতানির পরিমাণ আরো কমে গেছে। ফলে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম জনবল সীমিত করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেমিনি সি ফুড লিমিটেড। সম্প্রতি স্টক এক্সচেঞ্জের কাছে পাঠানো মূল সংবেদনশীল তথ্যে কথা জানিয়েছে কোম্পানিটি।

জেমিনি সি ফুডের কর্মকর্তারা বলছেন, চলতি ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে চিংড়ি রফতানির পরিমাণ কমে যাওয়ার কারণে কোম্পানির ব্যবসা কমে গেছে। কভিড-১৯-এর প্রভাবে রফতানি আয়ে ধস নেমেছে। ব্যবসা কমে যাওয়ার কারণে গ্রস মুনাফা মার্জিন কর-পরবর্তী মুনাফাও কমেছে। অবস্থায় কোম্পানিকে বাধ্য হয়ে ব্যবসায়িক কার্যক্রম সীমিত করার পাশাপাশি জনবল কমানোর দিকে যেতে হয়েছে।

জেমিনি সি ফুডের তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে বছরের মার্চ পর্যন্ত নয় মাসে কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে ৩৬ কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি ছিল ৫৭ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে ৩৭ শতাংশ বিক্রি কমেছে। আর বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তিন মাসে কোম্পানিটির বিক্রি হয়েছে কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে বিক্রি হয়েছিল ১৯ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এক্ষেত্রে বিক্রি কমেছে ৭৪ শতাংশ।

বিক্রি কমে যাওয়ার কারণে চলতি হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির গ্রস মুনাফা হয়েছে কোটি টাকা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে গ্রস মুনাফা ছিল কোটি টাকা। আর তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির ৯২ লাখ টাকা গ্রস লোকসান হয়েছে। যেখানে আগের বছরের একই সময়ে কোটি ৬৫ লাখ টাকার গ্রস মুনাফা হয়েছিল।

বিক্রি গ্রস মুনাফা কমে যাওয়ার কারণে ২০১৯-২০ হিসাব বছরের প্রথম নয় মাসে কোম্পানিটির কোটি টাকা করপরবর্তী লোকসান হয়েছে। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে মুনাফা ছিল ২৯ লাখ টাকা। আর চলতি হিসাব বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির আড়াই কোটি টাকা করপরবর্তী লোকসান হয়েছে। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে লোকসান ছিল ১৫ লাখ টাকা। চলতি হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান (ইপিএস) হয়েছে টাকা ৭৪ পয়সা। যেখানে এর আগের বছরের একই সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ৬২ পয়সা।

সর্বশেষ ৩০ জুন সমাপ্ত ২০১৯ হিসাব বছরের জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ দিয়েছে জেমিনি সি ফুড। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির ইপিএস হয়েছে ৩৭ পয়সা। আগের হিসাব বছরে যা ছিল ৬১ পয়সা (পুনর্মূল্যায়িত)

ডিএসইতে সর্বশেষ গেল বৃহস্পতিবার কোম্পানিটির শেয়ার ১৪৪ টাকা ৩০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বোচ্চ ৩৩০ টাকা এবং সর্বনিম্ন ১১৯ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন